সিরিয়ায় তুরস্ককে ‘সংযম’ দেখানোর আহ্বান রাশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-১১-২২ ২১:২২:০৪


তুরস্ক সিরিয়ায় অতিরিক্ত ‘শক্তি প্রয়োগ’ প্রদর্শন থেকে বিরত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে রাশিয়া। সোমবার (২১ নভেম্বর) সিরিয়া থেকে ছোড়া তুরস্কের একটি শহরে রকেট হামলায় শিশুসহ তিনজন নিহত হওয়ার পর সিরিয়ায় স্থল অভিযানের ঘোষণা দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তবে সিরিয়ায় বড় ধরনের অভিযান ও অত্যাধিক শক্তি প্রয়োগ না করতে তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।

গত ১৩ নভেম্বর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বোমা হামলায় ছয়জন নিহত ও কমপক্ষে ৮০ জন আহত হয়। এ হামলার জেরে গেল শনিবার (১৯ নভেম্বর) সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল ও ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চলে কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠীর আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালায় তুর্কি সেনাবাহিনী।

ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের তথ্যমতে, তুরস্কের হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হন। এ পরিস্থিতিতে সিরিয়ায় তুরস্ককে ‘সংযম’ দেখানোর পাশাপাশি আগামীতে এ ধরনের হামলা চালানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ দূত আলেক্সান্ডার লাভরেন্টিয়েভ বলেন, গেল কয়েক মাস ধরেই সিরিয়ায় অভিযান চালানোর ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সিরিয়ায় এ ধরনের হামলা চালানো ঠেকাতে রাশিয়া সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে তুরস্ক সিরিয়ায় নিজেদের শক্তি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে, ইরাক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন এলাকায় পুরোপুরি সন্ত্রাস দমন না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে তুরস্ক। এরইমধ্যে তুর্কি সেনাবাহিনীর অভিযানে দেড় শতাধিক কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তুরস্কে হামলা চালানোর লক্ষ্যেই ওইসব এলাকা সন্ত্রাসীরা নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছে বলে জানায় আঙ্কারা।

১৩ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে ওই ভয়াবহ হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও এ ঘটনার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সশস্ত্র গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি-পিকেকে এবং সহযোগী সিরীয় কুর্দি গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে আসছে তুর্কি সরকার।

এএ