বেড়েছে মাছ-মাংসের দাম
প্রকাশ: ২০১৬-০৪-০১ ১৭:৩২:৫৯
গত দুয়েক দিনের বৃষ্টির প্রভাব পরেছে কাঁচাবাজারে। বেড়েছে মাছ ও মাংসের দাম। এছাড়াও মসুর ডাল, মাসকলাইসহ অন্যান্য ডালের দাম কিছুটা বেড়েছে। বেড়েছে ডিমের দামও। তবে মাছ-মাংসের দাম বাড়লেও কমেছে চালসহ সবজির দাম। পেয়াজ ও রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। রাজধানীর আজিমপুর, নিউমার্কেট ও হাতিরপুল কাঁচাবাজার ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে এমনটাই জানা যায়।
বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে মাছের দাম। প্রতি কেজি দেশি রুই মাছ আকারভেদে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে। আমদানিকৃত রুই ১৭০ থেকে ২৬০, কাতলা ৩০০ থেকে ৪০০, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০, চিংড়ি আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৭০০, কৈ ২০০ থেকে ২৫০, পাঙ্গাশ ১৩০ থেকে ১৫০, সিলভার কার্প ১২০ থেকে ১৮০, মাগুর ৭০০ থেকে ৮০০, আইড় ৩০০ থেকে ৬৫০, বোয়াল ৩০০ থেকে ৫০০, পাবদা ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ আকারভেদে ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ৬০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা বিক্রি হয় বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা কেজি দরে। দেশি মুরগি বিক্রি হয় ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। গরুর মাংসের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি দরে। যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা।এছাড়া খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে।
বেড়েছে খামারের মুরগীর লাল ডিমের দাম। খামারের মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৩৩ টাকা থেকে ৩৪ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৩০ টাকা হালি দরে। এছাড়া দেশি মুরগির ডিম ৪০ থেকে ৪২ ও হাঁসের ডিম বিক্রি হয় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হালি দরে।
পেয়াজ ও রসুন বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে। আগের দামেই আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই এটির বাজারদর স্থিতিশীল রয়েছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি নতুন রসুনের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে এর সুফল পাচ্ছেন ভোক্তাসাধারণ। যদিও বড় দানার চীনা রসুন আগের চড়া দামে অর্থাৎ ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।
প্রতি কেজি আলু ১৮ থেকে ২০ টাকা বিক্রি হলেও কমেছে অন্যান্য সবজির দাম। বেগুন ৪০ থেকে ৫০, শসা ২৫ থেকে ৩০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। ঝিঙে ও চিচিঙ্গা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। পেঁপে ২৫ থেকে ৩০, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ২৫ থেকে ৩০, ঢেঁড়স ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্রতিটি লাউ ৩০ থেকে ৪০, জালি কুমড়া ২০ থেকে ৩০, প্রতিটা পাত কপি ২০ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হয়।
মাছ মাংসের দাম বাড়লেও কমে এসেছে চালের দাম। মিনিকেট চাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৪৬ থেকে ৫০, মোটা চাল ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ডালের দাম কিছুটা কমা শুরু হওয়ার পর আবারো বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল মসুর ডাল (দেশি) ১৪০ টাকা, আমদানি করা ১০০ থেকে ১১০ টাকা ও ক্যাঙ্গারু ডাল ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৫ টাকা বেশি। এছাড়া প্রতি কেজি খোলা আটা ২৫ থেকে ২৮ টাকা, প্যাকেট ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা, খোলা ময়দা ৩২ থেকে ৩৪ টাকা, প্যাকেট ৪০ থেকে ৪৩ টাকা, চিনি ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আগের মতোই পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৪৪০ থেকে ৪৫৫ টাকায় এবং এক লিটারের বোতল বিক্রি করা হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। খোলা পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে ৬২-৬৫ টাকা লিটার দরে। আর পামঅয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৬৭ টাকা লিটার দরে।