দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, যেকোনো মূল্যে সমাবেশ হবে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-১২-০৫ ২০:১১:১২


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেয়ালে তাদের পিঠ ঠেকে গেছে। সামনে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। এমতাবস্থায় আগামী ১০ ডিসেম্বর যেকোনো মূল্যে তাদের সমাবেশ সফল করতে হবে।

তিনি বলেন, সারা দেশে ৯টি সমাবেশ শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে সফল করেছে জনগণ। আবারও বাধা দেয়া, গ্রেফতার করা শুরু হয়েছে; তবে সব উপেক্ষা করে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ১০ ডিসেম্বরের দিকে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে আছে। তাই তাদের ভাষায় গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাইলে যেকোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করতে হবে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) গুলশানে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিপন্ন। আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। আসলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই এটা করে। এটা তাদের গুণ। তারা ভয় পায় এবং লুট করে। তারা ভয় দেখিয়ে শাসন করে। তারা জনগণের সঙ্গে থাকে না বরং প্রতারণা করে। ভুল বুঝিয়ে ভোট নেয়। এখন তাদের আসল চেহারা বের হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, সারাদেশে মানুষ জেগে উঠেছে। বিগত ৯টি বিভাগীয় গণসমাবেশে লাখ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। নদী সাতরিয়ে, পায়ে হেঁটে, সাইকেলে চড়ে, চিড়া-মুড়ি গুড় নিয়ে সমাবেশে অংশ নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন। তারা সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। তারা কিছুই চান না। শুধু মুক্তি চান।

মির্জা ফখরুল বলেন, মামলা-হামলা গ্রেফতার উপেক্ষা করে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। পেশাজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন বেগবান করতে হবে। অতীতেও পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

তিনি বলেন, ‘এখন শুধু তারেক রহমান বা বিএনপির অস্তিত্বের প্রশ্ন নয়, আজকে গোটা জাতির জন্য অস্তিত্বের লড়াই। যদি গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ফিরে পেতে চাই তাহলে যেকোনো মূল্যে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ সফল করতে হবে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘দেশের গ্রামীণ মানুষ আজ অতিষ্ঠ। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে একটি গোষ্ঠী হামলা-মামলা চালাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ আমাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ মহাসমাবেশে রূপ লাভ করবে। এরইমধ্যে অনেক লোক ঢাকায় আসা শুরু করেছে। পল্টন এলাকায় গেলেই দেখা যাবে লোকে লোকারণ্য। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই সরকারের পতন হবে। অতীতেও তাই হয়েছে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি না দিলে গোটা ঢাকায় সমাবেশ হবে। সেটা কিন্তু ঠেকানো যাবে না।

বিএসপিপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানসহ আরও অনেকে।

এএ