বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সাড়ে চারশ নেতাকর্মী আটক: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-১২-০৭ ২১:২৫:২৮


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, বিকাল থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সিনিয়র নেতাসহ সাড়ে চারশ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় অবস্থানরত দলটির মহাসচিব সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন এখন পর্যন্ত সিনিয়র নেতাসহ সাড়ে চারশ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজকের ঘটনায় যারা নিহত এবং আহত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণসহ এই ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেন তিনি। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার জন্য সরকারকে দায়ি করেন মির্জা ফখরুল।

ডিএমপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রচুর বোমা পাওয়া গেছে। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার সন্ধ্যায় কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হলে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। পুলিশ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে তাদের ওপর চড়াও হন। এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের এসময় ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস শেল ছুড়ে। নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এসময় গুলিবিদ্ধ মকবুল হোসেনের (৪০) এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তার স্ত্রীর দাবি, মকবুল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। একই দাবি তার বড় ভাইয়েরও। তিনি বলেন, দুপুরে দোকানের জন্য পুতি কিনতে মকবুল সদর ঘাটে গেছেন।

এদিকে ওই সংঘর্ষের পরই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে ডিবি পুলিশ। বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে বিপ্লব কুমার সরকার ডিবির মতিঝিল বিভাগের একটি ইউনিটসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢোকেন। তারা কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালান। এসময় বিএনপির এসব নেতাকর্মীদের আটক করা হয়।

এএ