বিএনপির সফলতার দিনে ঘোড়া ডিম পাড়বে: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-১২-১৭ ১৮:১৬:৫৬


সরকার পতনের দাবি নিয়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির ঘোষিত গণ-মিছিলকে গুরুত্ব দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘১০ তারিখে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে, কী পেয়েছে? পেয়েছে অশ্ব ডিম্ব। ৩০ তারিখেও ঘোড়া ডিম পাড়বে। যদি তারা সফল হয়, ঘোড়া সেদিন ডিম পাড়বে।’

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে বিজয় শোভাযাত্রা শুরুর আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের কোনও দিকে কান না দিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকার আহ্বান জানান কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, খুনিদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। একাত্তরের খুনি, পঁচাত্তরের খুনিদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খুনিদের আমরা পরাজিত করবো। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখতে হবে। খেলা হবে, খেলা হবে। প্রস্তুত হয়ে যান।

আওয়ামী লীগ আন্দোলনে খেলবে, নির্বাচনেও খেলবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেমিফাইনাল সামনে। তারপর ফাইনাল খেলা। ফাইনালের আন্দোলনেও তারা হারবে। নির্বাচনেও তারা হারবে ইনশা আল্লাহ।’

বিজয় র‌্যালিতে ব্যাপক জনসমাগমের নিজে গাড়ি নিয়ে আসতে পারেননি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মোটরসাইকেলে করে এসেছি। জনগণ, স্লোগান আর স্লোগান। বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষ্যার সব ঢেউ আজকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের আজকের এই উত্তাল সমাবেশে।

‘সবাই প্রস্তুত। খেলা হবে ভোট চুরি, দুর্নীতি, লুটপাটের বিরুদ্ধে। হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, একাত্তর ও পঁচাত্তরের খুনিদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।’

কূটনীতিকদের জন্য নিরাপত্তার কোনও অভাব বাংলাদেশে নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে আমেরিকান দূতাবাস, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনও টানাপড়েন হলে কূটনৈতিকভাবে ফয়সালা করবো। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভেদ সৃষ্টির উসকানি দিচ্ছে বিএনপি।’

‘আমি যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল দূতাবাসকে আশ্বস্ত করছি- কূটনীতিকদের জন্য নিরাপত্তার কোনও অভাব বাংলাদেশে নেই। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সবাই নিরাপদে থাকবেন।’

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘আজকে যদি কোনও টানাপড়েন হয়, তার বিচার চাইবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু আপনারা এটা বলার কে?’

এর আগে, দুপুরের পর থেকেই নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রা প্রাঙ্গণে আসা শুরু করেন। নির্ধারিত সময়ে আগেই মৎস্যভবন, কাকরাইল, শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোডসহ সংশ্লিষ্ট এলাকা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। শোভাযাত্রাটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

জাতীয় পতাকা, রং-বেরঙয়ের ব্যানার-ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে শোভাযাত্রায় যোগ দেন নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে শোভাযাত্রায় আসেন নেতাকর্মীরা।

শোভাযাত্রায় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এএ