বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে নতুন করে চুক্তি নয়: মালয়েশীয় মন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২২-১২-২০ ২২:০৭:০৭


বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে নতুন করে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার নতুন মানবসম্পদমন্ত্রী ভি. শিবাকুমার।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া থেকে থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য পূর্বসূরির যেই সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে সেটিই আপাতত বলবত থাকবে। এটি নতুন করে পর্যালোচনা করারও কোনো পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নেই।

বাংলাদেশ থেকে দ্রুত কর্মী প্রবেশে মালয়েশিয়া সরকারের প্রচেষ্টা কেমন-এমন প্রশ্নের জবাবে মালয়েশিয়ার এ মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রমের যে ক্রমবর্ধমান চাহিদা উল্লেখ করা হয়েছে দ্রুত সেই চাহিদা কিভাবে পূরণ করা যায় সেই বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে। সেটা আমরা খুব শিগগিরই ঘোষণা করব।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রক্রিয়াটি আরও নিখুঁত করতে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া থেকে দ্রুত কর্মী আনতে আমরা যে নতুন সেট আপ তৈরি করছি সেটি আগের চেয়ে দ্রুত হবে। সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পর বিস্তারিত ঘোষণা করব।

শ্রমিকের চাহিদা মেটাতে শিল্প মালিকদের সঙ্গে মন্ত্রণালয় ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে এবং প্রযুক্তিগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিসিইটি), প্রতিভা ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার বিকাশের দিকেও মনোনিবেশ করবেন বলেও জানান তিনি।

দুই দেশের সরকারের মধ্যে এক চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ চলমান রয়েছে। চলতি বছরের ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৬৬ নিয়োগকর্তার কাছ থেকে মোট ৭৫ হাজার ৭৫১টি আবেদনের মধ্যে ৬৭ হাজার ৯৫৮টি আবেদন অনুমোদিত হয়েছে।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া তাদের শ্রম চাহিদা পূরণের জন্য স্থানীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের কর্মীদের উপর নির্ভর করে থাকে। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে মহামারির কারণে নতুন করে বিদেশি কর্মী নিয়োগ স্থগিত থাকায় দেশটিতে চরম শ্রমিক সংকট তৈরি হয়।

এই শ্রমিক সংকট নিরসনে গত বছরের (২০২১) ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি হয়। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়ার সাবেক মানবসম্পদমন্ত্রী সেরি এম সারাভানান। এরপর চলতি বছরের ২ জুন ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।

এএ