রাশিয়ার ১০ নৌ-সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আপডেট: ২০২২-১২-২৩ ১০:৫১:১৫
রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ১০টি নৌ-সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। খবর এএনআই ও রয়টার্সের।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউক্রেনের বন্দরগুলো বিশ্বব্যাপী প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য সরবরাহ করে। সেখানে রুশ নৌবাহিনীর অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার নৌ-সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থাগুলো একটি সহজ বার্তাই বহন করছে। ক্রেমলিনকে ইউক্রেনে তাদের নৃশংস অভিযান বন্ধ করতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, এক্সিকিউটিভ অর্ডার ১৪০২৪ অনুসারে রাশিয়ার এসব নৌ-সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে রুশ অর্থনীতির প্রতিরক্ষা ও সংশ্লিষ্ট খাত এবং সামুদ্রিক খাতের ছয়টি সংস্থা রয়েছে। এছাড়াও দেশটির অর্থনীতির সামুদ্রিক খাতে কাজ করার জন্য আরও চারটি সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পরে গত বুধবার মার্কিন কংগ্রেসেও বক্তৃতা দেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। এরপরই রুশ নৌ-সংস্থাগুলোর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এলো।
এর আগে মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া বক্তৃতায় রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাইডেন প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান জেলেনস্কি। একইসঙ্গে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ইউক্রেনে আরও অস্ত্র সরবরাহের অনুরোধ জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের অবকাঠামো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে মস্কো। ইউক্রেনের দাবি, রুশ হামলার ফলে ওডেসার কৃষ্ণ সাগর বন্দরটি ডিসেম্বর মাসে একদিনের জন্যও ব্যবহার করা যায়নি। এছাড়া এই অঞ্চলে চোরনোমর্স্ক ও পিভডেনি বন্দরগুলো আংশিকভাবে কাজ করেছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর তিনটি বন্দর জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তির আওতায় জুলাই থেকে শস্য রপ্তানি শুরু করেছে।
এনজে