স্ত্রী-সন্তানসহ অ্যাসিডদগ্ধ ৪, অভিযুক্ত স্বামী

আপডেট: ২০১৬-০৪-০৭ ১৩:৫৯:৪৯


Acid.Sunbdরাজধানীর মিরপুরের রূপনগর এলাকায় একটি টিনশেড বাসায় (৪৫০/সি/এ) মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের ছোড়া অ্যাসিডে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। তবে দগ্ধ মাহফুজা আক্তার সুবর্ণার অভিযোগ, তার স্বামী পরিকল্পিতভাবে এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন মাহফুজা আক্তার সুবর্ণা (৩০), অভিযুক্ত স্বামী সুরুজ আলম খান (৫০), তাদের সন্তান পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী রিমা আক্তার (১০) ও সুবর্ণার বড় বোন নিলুফার আক্তার (৩৩)।

সুবর্ণা মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে, সন্তান রিমা ডান হাতে, সুবর্ণার বড় বোন নিলুফার ডান হাতে ও তার স্বামী সুরুজ আলম ডান হাতে দগ্ধ হয়েছেন।

সুর্বণা স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। তার স্বামী সুরুজ আলম মিল্ক ভিটায় কাজ করেন। ভোরে ঘরের দরজা খোলা থাকা অবস্থায় মুখোশপরা দুই যুবক ঢুকে অ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়।

সুরুজ মিয়া জানান, ‘সকাল ৬টার দিকে দুই মুখোশধারী যুবক বাসায় এসে দরজা নক করে। আমি স্ত্রীকে দরজা খুলতে বলি। দরজা খোলার পরপরই মুখোশধারীরা স্ত্রীর গায়ে অ্যাসিড ছুড়ে মারে। তার চিৎকারে আমি এগিয়ে গেলে আমার ওপরও নিক্ষেপ করে। আমাদের চিৎকারে আমার মেয়ে ও স্ত্রীর বড় বোন ঘুম থেকে জেগে এগিয়ে আসলে তাদের ওপরও অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন আমাদের উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসে।’

তবে সুরুজের কথায় সন্দেহ পোষণ করে পুলিশ। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোজাম্মেল হক তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

তিনি বাংলামেইলকে জানিয়েছেন, সুরুজ আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী ও সুরুজ মিলে পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সুবর্ণা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ সংসারের ভরণপোষণ ঠিকমতো দিচ্ছেন না তার স্বামী সুরুজ। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র বাসা নিয়ে থাকেন। বলেন, ‘এ নিয়ে তার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন মনকষাকাষি হয়ে আসছে। এ কারণে বাইরের লোক দিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে।’

বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন, সুবর্ণার শরীরের ১১ শতাংশ, সুরুজের ২ শতাংশ, মেয়ের ৬ শতাংশ ও সুবর্ণার বড় বোনের শরীরের ৭ শতাংশ পুড়ে গেছে।