ভোমরায় পণ্য রফতানি আয় বেড়েছে ১৫০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২২-১২-২৮ ০৯:২০:৫৬


চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫০ কোটি টাকারও বেশি বেড়েছে। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা এ তথ্য জানিয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা থাকায় রফতানি আয় বেড়েছে। এলসি জটিলতাসহ নানা কারণে পণ্য আমদানি বাড়ছে না। এসব সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে আমদানি সহজ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা জানায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মাস পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৯৬ টন বাংলাদেশী পণ্য রফতানি হয়েছে। রফতানীকৃত এসব পণ্য থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৪২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। অন্যদিকে গত ২০২১-২২ অথর্বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বন্দর দিয়ে পণ্য রফতানি হয়েছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ টন। এসব পণ্য থেকে আয় হয় ১ হাজার ২৬৯ কোটি ১২ লাখ টাকা। সে হিসেবে আয় বেড়েছে ১৫৮ কোটি ৪ লাখ টাকা।

এ বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য রফতানি হয় তার মধ্যে অন্যতম গার্মেন্টস বর্জ্য, তাঁতের শাড়ি,  রাইস ব্র্যান অয়েল, মধু, ক্লিনিক ক্লথ, পাটের সুতা, পাটের চট, নারকেলের শলা, প্রাণের জুস, লিচু ড্রিংকস, প্রাণের চানাচুর ও চিপস।

ভোমরা স্থলবন্দরের মেসার্স রাজ ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন মন্টু জানান, আমদানির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী ভারতে রফতানি করে তার প্রতিষ্ঠান। রফতানীকৃত এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে প্রাণ গ্রুপের জুস, লিচু ড্রিংকস, প্রাণের চানাচুর ও চিপস। গত অর্থবছরের তুলনায় তার প্রতিষ্ঠানে পণ্য রফতানি অন্তত ১৫-২০ শতাংশ বেড়েছে।

ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম পণ্য আমদানি-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স গনি অ্যান্ড সন্সের ব্যবস্থাপক অশোক কুমার জানান, গার্মেন্টস বর্জ্য, সুতার বর্জ্য ও রাইস ব্র্যান অয়েলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি করে তার প্রতিষ্ঠান। ভারতের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী থাকায় রফতানি আয় কিছুটা বেড়েছে।

এনজে