কমছে না মাংসের দাম, বেড়েছে ডিম পেঁয়াজের

প্রকাশ: ২০১৬-০৪-০৮ ১৫:১৪:৩৮


image_01_newsnextbdতীব্র গরমের প্রকোপে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির মূল্য কিছুটা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি, ফার্মের লাল ডিম, দেশি পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যান্য জিনিসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মৌসুমী ফল কাঁচা আম। তবে দাম নাগালের বাইরে। আজ রাজধানীর আজিমপুর, নিউমার্কেট, হাতিরপুলসহ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমনই খবর পাওয়া যায়। দাম বাড়া প্রসঙ্গে বিক্রেতারা জানান, গরম বৃদ্ধি পাওয়া এবং সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়লেও দেশি মুরগি বিক্রি হয় আগের দামেই ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে।

গত সপ্তাহে এক দফা বাড়ার পর আবারো বেড়েছে খামারের মুরগীর লাল ডিমের দাম। খামারের মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৩৪ টাকা থেকে ৩৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা হালি দরে। এছাড়া দেশি মুরগির ডিম ৪০ থেকে ৪২ ও হাঁসের ডিম বিক্রি হয় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হালি দরে।

দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে। তবে দেশি পেয়াজের ঝাঁঝ বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। আগের দামেই আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। রসুন বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। বড় দানার চীনা রসুন আগের দামে অর্থাৎ ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।

গরমের প্রভাবে সবজির দামও কিছুটা বেড়েছে। তবে কিছু সবজির দাম রয়েছে আগের মতোই। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা আম প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। শসা ২৫ থেকে ৩০ টাকা। করলা ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। ঝিঙে ও চিচিঙ্গা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপে ২৫ থেকে ৩০, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ২৫ থেকে ৩০, ঢেঁড়স ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি লাউ ৩০ থেকে ৪০, জালি কুমড়া ২০ থেকে ৩০, প্রতিটা পাত কপি ২০ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হয়।

মাছের বাজার ঘুরে তেমন কোন পার্থক্য দেখা যায়নি। বিক্রি হচ্ছে আগের সপ্তাহের দামেই। প্রতি কেজি দেশি রুই মাছ আকারভেদে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা।  আমদানিকৃত রুই ১৭০ থেকে ২৬০, কাতলা ৩০০ থেকে ৪০০, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০, চিংড়ি আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৭০০, কৈ ২০০ থেকে ২৫০, পাঙ্গাশ ১৩০ থেকে ১৫০, সিলভার কার্প ১২০ থেকে ১৮০, মাগুর ৭০০ থেকে ৮০০, আইড় ৩০০ থেকে ৬৫০, বোয়াল ৩০০ থেকে ৫০০, পাবদা ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ আকারভেদে ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজাও অপরিবর্তিত আছে। গত সপ্তাহের মতোই মিনিকেট চাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৪৬ থেকে ৫০, মোটা চাল ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  মসুর ডাল (দেশি) ১৪০ টাকা, আমদানি করা ১০০ থেকে ১১০ টাকা ও ক্যাঙ্গারু ডাল ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  এছাড়া প্রতি কেজি খোলা আটা ২৫ থেকে ২৮ টাকা, প্যাকেট ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা, খোলা ময়দা ৩২ থেকে ৩৪ টাকা, প্যাকেট ৪০ থেকে ৪৩ টাকা, চিনি ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া আগের মতোই পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৪৪০ থেকে ৪৫৫ টাকায় এবং এক লিটারের বোতল বিক্রি করা হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। খোলা পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে ৬২-৬৫ টাকা লিটার দরে। আর পামঅয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৬৭ টাকা লিটার দরে।

সানবিডি/ঢাকা/আহো