চট্টগ্রামকে উড়িয়ে বিপিএল শুরু মাশরাফীর সিলেটের

স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৩-০১-০৬ ১৭:১৫:০৪


চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে একশর আগেই অলআউট করে দিয়েছিল মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। জবাব দিতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর ইনিংসে ভর করে সহজ জয় পেয়েছে তারা। সিলেটের জয় ৮ উইকেটে।

শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৯ রান করেছিল চট্টগ্রাম। জবাবে ৭.৩ ওভার হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেছে সিলেট।

রান তাড়া করতে নেমে ১২ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে সিলেটের। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে ব্যক্তিগত ১ রানে বিদায় নেন কলিন অ্যাকারম্যান। এরপর ২১ বলে ২৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জাকির হাসান। তাকে শিকারে পরিণত করেন পুস্পাকুমারা। অন্য ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। ৪১ বলে ৪৩ রান করতে ৩টি চারের পাশাপাশি একটি ছয়ও হাঁকান তিনি। মুশফিক করেন ৬ রান।

এর আগে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। সিলেটের হয়ে মাত্র ১৪ রান খরচে ৪ উইকেট তুলে নেন রেজাউর রহমান রাজা। ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও কলিন অ্যাকারম্যান একটি করে উইকেট নেন।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সিলেটের বোলারদের তোপে পড়ে চট্টগ্রাম। ওপেনার মেহেদী মারুফ রান আউটের শিকার হলেও ডারউইশ রাসুলি ফেরেন মোহাম্মদ আমিরের বলে ক্যাচ দিয়ে। মারুফ ১৪ বলে ১১ আর ডারউইশ ৯ বলে ৩ রান করেন। শুরুর ধাক্কা সামলে না উঠতেই অধিনায়ক শুভাগত হোম সাজঘরে ফেরেন রেজাউর রহমান রাজার বলে ক্যাচ দিয়ে। ৭ বল মোকাবিলা করে তিনি করেন মাত্র ১ রান। দলীয় ৪৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে কলিন অ্যাকারম্যানকে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন আল-আমিন। ২০ বলে ১৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতে এসে দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি উসমান খান, উম্মুখ চাঁদ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীরা। ১৬তম ওভারে আফিফ বিদায় নিলে চট্টগ্রামের শেষ আশাটুকুরও মৃত্যু হয়।

এএ