দেশের রপ্তানি আয় এক হাজার কোটি ডলারে নিতে চায় বিজিএপিএমইএ
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০১-০৮ ২১:৫২:০৯
দেশের রপ্তানি খাতকে আরও প্রসারিত করে রপ্তানি আয় এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছানের লক্ষ্যে রাজধানীর ঢাকায় বুধবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে চার দিনব্যাপী তৈরি পোশাক শিল্প পণ্যের চারটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী।
এগুলো হলো-২০তম গার্মেন্টস টেকনোলজি শো বাংলাদেশ (জিটিবি) ২০২৩, ১২তম আন্তর্জাতিক গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং (জিএপি) ২০২৩, প্রথম ভারত টেক্সটাইল ট্রেড ফেয়ার বাংলাদেশ (আইটিটিএফ) ২০২৩ এবং আন্তর্জাতিক ইয়ান অ্যান্ড ফ্রেবিকস এক্সপো রাজধানীর বসুন্ধরায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আগামী ১১ জানুয়ারি বুধবার থেকে শুরু হবে চলবে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আন্তর্জাতিক এ প্রদর্শনীর আয়োজক বাংলাদেশ গার্মেন্টস্ এক্সেসরিজ এন্ড প্যাকেজিং ম্যানুফাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)।
রোববার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন মতি বলেন, শুধু আমরা নয়, সারা বিশ্ব এখন জানে বাংলাদেশ গার্মেন্টস রপ্তানিতে হয়। আমাদের এখন রপ্তানির প্রথম খাত গার্মেন্টস এবং তারপরই প্রবাসীর রেমিট্যান্স। গেলো ডিসেম্বরে আমাদের ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা এক মাসের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়। এই আয়কে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০০ কোটি মার্কিন ডলারে নিয়ে যেতে চাই। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, যদিও গার্মেন্টস শিল্পের অগ্রগতি এবং রপ্তানির প্রধান খাত হয়ে উঠার পিছনে যাদের অবদান তাদেরকে আমরা এখনও সকল পর্যায়ে পরিচিত করতে পারিনি। ৮০ দশকে যখন একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গার্মেন্টস রপ্তানি শুরু হয়েছিল তখন দেশে কোন এক্সেসরিজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ছিল না। গার্মেন্টস শিল্প বিকাশ লাভ শুরু করলেও তার পশ্চাৎসংযোগ শিল্প এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্প দেশে পড়ে না উঠায় সকল প্রকার এক্সসরিজ ও প্যাকেজিং বিদেশ হতে আমদানি করতে হতো। আন্তর্জাতিক মূল্যে এক্সসোরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য আমদানিতে যেমন সময় ব্যয় হতো তেমনি উৎপাদন খরচও বড়তো। এরূপ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের পেশাক শিল্পের কোনদিনও বর্তমান পর্যায়ে আসা সম্ভব ছিল না।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইসিসিবি’র নবরাত্রি হল এবং তৎসংলগ্ন তাবুতে গ্যাপেক্সপো-২৩ অনুষ্ঠিত হবে। এবার তাঁবু সহ ১০টি হলে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। দেড়শ এক্সিবিউটর ৬৫০ থেকে ৬৬০টি স্টলে মেলায় অংশ নেবে। মেলায় দেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। বিদেশি গার্মেন্টসে অ্যাক্সেসরিজ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাপান, ভারত, ভিয়েতনাম, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি।
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি থেকে মেলা উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান ও ভারতের গুজরাটের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাট্রিজের সভাপতি হিমাংশু হাসমুকভাই বোদাওয়ালাসহ মেলায় তৈরি পোশাক শিল্পের দুই উপখাত ওভেন ও নিটের উদ্যোক্তা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত থাকবেন।
এএ