অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহত ছয়: ২৬ ঘণ্টা নির্ঘুম ছিলেন চালক
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৩-০১-১৭ ১৬:০৩:২০
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে জাজিরা প্রান্তে দুর্ঘটনাকবলিত অ্যাম্বুলেন্সটি চালাচ্ছিলেন চালক রবিউল ইসলাম (২৮)। তার বিষয়ে পুলিশ প্রাথমিকভাবে বলছে, তিনি টানা ২৬ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
রোগী নিয়ে ঢাকায় আসার পথে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে চলন্ত ট্রাককে ধাক্কা দিলে অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ ছয়জন মারা যান।
শিবচর হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হক বলেন, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার ২০০ থেকে ৩০০ মিটার সামনে ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা জেনেছি, অ্যাম্বুলেন্সের চালক রবিউল টানা ২৬ ঘণ্টা ডিউটিতে ছিলেন। এ কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন। এ কারণে চলন্ত ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি।
সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটি ট্রাকের নিচে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই চালকসহ গাড়িতে থাকা ছয়জন প্রাণ হারান।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশ আরও জানায়, চালক রবিউল খুলনার দিঘলিয়ার চন্দনিমহল এলাকার কাওসার হাওলাদারের ছেলে। তিনি রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা থেকে রোগী নিয়ে ভোলায় যান। ভোলা থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বরিশাল শহরের বেলভিউ হাসপাতাল থেকে আরেক রোগী নিয়ে গতকাল সোমবার রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
দীর্ঘ ২৬ ঘণ্টা গাড়ি চালানোর কারণে তাঁর শরীর ক্লান্ত ছিল। গাড়ি চালানোর সময় তিনি হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এতে প্রাণ হারানো অন্যরা হলেন রোগী জাহানারা বেগম (৫৫), তার মেয়ে লুৎফুন্নাহার লিমা (৩০), তাদের স্বজন ফজলে রাব্বি (২৮) ও আরেক স্বজন বরিশালের সাংবাদিক মাসুদ রানা (২৮), চালক রবিউল ইসলাম (২৮) ও রবিউলের সহকারী জিলানি (২৮)।
এদিকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ শনাক্ত করছে স্বজনরা। পুলিশ ও জাজিরা উপজেলা প্রশাসন তাদেরকে এ মরদেহ হস্তান্তর করেছে। সেইসঙ্গে নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দিয়েছে।
এম জি