রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ার্স ড্রাফট। আইপিএল খেলতে চলে গেলেও ড্রাফটে আইকন গ্রেডে রাখা হয়েছিল সাকিবকে, ‘এ প্লাস’ গ্রেডে মুস্তাফিজ।
আইকন ও ‘এ প্লাস’ গ্রেডের লটারিতে প্রথম দফায় অনুমিতভাবেই দুজনকে ডাকেনি কোনো ক্লাব। প্রথম দফায় ক্লাব না পাওয়া ৩ ক্রিকেটারের জন্য লটারি হয় দ্বিতীয় দফা। এবার প্রথম ডাকার সুযোগ পেয়ে সাকিবকে দলে নেয় আবাহনী লিমিটেড, তৃতীয় ডাকের সুযোগ পেয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব নিয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানকে।
আইপিএলে চলে গেলেও সাকিবকে দলে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন আবাহনীর কর্মকর্তা ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস।
“প্রথম সাকিবের নামের একটি ভার আছে। সেটিকে আমরা সম্মান করেছি। আর আমরা আশা করছি, সুপার লিগের শেষ পর্যায়ে হয়ত আমরা সাকিবকে পাব। তখন লিগের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় থাকবে। তখন সাকিবকে পেলে আমাদের দারুণ কাজে লাগবে।”
এই গ্রেডের প্রথম দফার লটারিতে আবাহনী দলে নিয়েছে তামিম ইকবালকে। ২০০৮-০৯ সৌমুসে আবাহনীল হয় খেলেছিলেন তামিম, ২০০৯-১০ মৌসুমে আবাহনীতে খেলেছিলেন সাকিব। দুই ক্রিকেটারের সঙ্গেই সেবার বেশ ঝামেলা হয়েছিল ক্লাব কতৃপক্ষের। এরপর দুজনের কেউই আর খেলেননি আবাহনীতে।
তবে এবার আর কোনো সমস্যা হবে না, বিশ্বাস জালাল ইউনুসের।
“সবাই মনে করে আবাহনী ক্লাবের সঙ্গে সাকিব-তামিমের ঝামেলা আছে। আসলে কিন্তু আমাদের সঙ্গে ওদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক দারুণ। এক সময় কিছু সমস্যা হয়েছিল। সেসব এখন অতীত। ওরা এবং আমরা, অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি এরপর। আশা করি, এবার ওদের নিয়ে আমরা শিরোপা জিততে পারব।”
মোহামেডান প্রথম দফার লটারিতে আইকন গ্রেড থেকে নিয়েছে মুশফিকুর রহিমকে। দ্বিতীয়বার সুযোগ পেয়ে নিয়েছে তারা নিয়েছে মুস্তাফিজকে। ক্লাবের ক্রিকেট কমিটির সচিব মাসুদুজ্জামানের কণ্ঠে শোনা গেল জালাল ইউনুসের কথারই প্রতিধ্বনি।
“নিলাম মুস্তাফিজকে, দেখা যাক! হয়ত লিগের শেষ দিকে কয়েকটি ম্যাচের জন্য পেতেও পারি ওকে। পেলে খুব ভালো হবে আমাদের জন্য।”
আইপিএলের প্রাথমিক পর্ব শেষ হবে ২২ মে, ফাইনাল ২৯ মে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরু ২২ এপ্রিল থেকে। অতীতে অনেকবারই নানা কারণে দীর্ঘসূত্রতা দেখা গেছে প্রিমিয়ার লিগে। তার ওপর এবার লিগ হচ্ছে বৃষ্টির মৌসুমে। সুপার লিগের শেষ পর্যায়ে সাকিব ও মুস্তাফিজের খেলার সম্ভাবনা তাই বেশ ভালোভাবেই থাকছে।