পানামার মোসাক ফনসেকা কার্যালয়ে তল্লাশি
প্রকাশ: ২০১৬-০৪-১৩ ১১:১১:৪৩
পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারীর পর মঙ্গলবার রাতে আলোচিত ল ফার্ম মোসাক ফনসেকার কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছেন পানামার অ্যাটর্নি জেনারেল। ওই ফার্ম থেকে কোনোরকম বেআইনি কার্যক্রম চালানো হয়েছিল কিনা সেটি খুঁজে দেখতেই ওই তল্লাশি চালানো হয় বলে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি ওই ল ফার্মের ১ কোটি ১০ লাখ নথি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর পানামার মোসাক ফনসেকার ওই কার্যালয়ে অভিযান চালান হল। ওই নথি ফাঁসের ঘটনায় বিশ্বে জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশ্বের বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদ, খেলোয়ার ও চিত্রতারকাদের কর ফাঁকি আর অর্থ পাচারের দুর্নীতি সামনে এসে পড়ায় বিব্রত সরকারগুলো।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারা ওই কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র খুঁজে দেখেছে যা থেকে ওই ফার্মটির কার্যকলাপ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। মঙ্গলবার বিকেলেই পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের টহল গাড়িগুলো মোসাক ফনসেকার ভবনের সামনে এসে অবস্থান নিতে শুরু করে। পরে প্রসিকিউটর জাভিয়ার কারাভাল্লোর নেতৃত্বে শুরু হয় তল্লাশি। জাভিয়ার হলেন পানামার অপরাধ ও অর্থ পাচার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। তবে তল্লাশিতে আপত্তিকর কিছু পাওয়া গেছে কিনা কিংবা কোনো নথি জব্দ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
মোসাক ফনসেকা সাধারণত বাইরের দেশগুলোতেই কাজ করে থাকে। তারা তাদের ক্লায়েন্টদের আর্থিক লেনদেন ও কর সংক্রান্ত বিষয়ে পরমর্শ দিয়ে থাকে। তাদেরই সহায়তায় একাধিক প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশীল ব্যক্তি ও কোম্পানি স্বদেশ থেকে বহু অর্থ পাচার করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। তবে মঙ্গলবারের ওই তল্লাশি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি ওই ল ফার্মটি। এর আগে এর মালিক র্যামন ফনসেকা বলেছিলেন, তার কোম্পানি কোনো ধরনের বেআইনি কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত নয় এবং তারা কোনো প্রমাণও ধ্বংস করেনি। কোম্পানির সমস্ত কর্মকাণ্ডকে আইনসঙ্গত বলেও দাবি করেছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে পানামা কেলেঙ্কারির পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারগুলো ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে অনুসন্ধান শুরু করেছে।