সবুজ কারখানার সনদ পেল আমানত শাহ ফেব্রিকস
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০১-২৫ ১৯:৫০:২৪
পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানা বা গ্রিন ফ্যাক্টরির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ‘লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (লিড)’ সনদ পেয়েছে আমানত শাহ ফেব্রিকস লিমিটেড। গত ২২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ‘ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল’ এ সনদ দেয়। কারখানাটি নরসিংদীর পাঁচদোনায় অবস্থিত।
বিভিন্ন সূচকে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৬০ পয়েন্টের ওপরের কারখানাকে গোল্ড সনদ দেওয়া হয়। আমানত শাহ ফেব্রিকস পেয়েছে ৬৮ পয়েন্ট। এতে লিড সনদ পাওয়া সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৪টি।
তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের প্রথম লিড সনদ পাওয়া ফ্যাক্টরি আমানত শাহ ফেব্রিক। প্রতিষ্ঠানটি গোল্ড ক্যাটাগরিতে লিড সনদ পাওয়ার মাধ্যমে ১৮৪টি লিড সনদ পাওয়া কারখানার খ্যাতি অর্জন করল বাংলাদেশ।
বিজিএমইএর পরিচালক বলেন, যদিও গোল্ড ক্যাটাগরিতে সনদ পেয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। তবুও আমরা নতুন বছরের প্রথম মাসেই গ্রিন ফ্যাক্টরির সনদ পেয়ে যাত্রা শুরু করতে পারলাম।
রুবেল বলেন, গত বছর আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক প্লাটিনাম সনদ পেয়েছি। এ বছরও আশা করছি, এ ধারা অব্যাহত থাকবে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে এ খাতকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
বাণিজ্যিক ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনার ক্ষেত্রেও এ সনদ দিয়ে থাকে ইউএসজিবি। বিশেষত, শিল্প কারখানার ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন পর্যন্ত ছোট-বড় সব পর্যায়ে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি কতটা মানা হলো, তার কঠিন তদারকি এবং চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সর্বোচ্চ মানের কারখানাকে এ সনদ দেয়া হয়।
বর্তমানে দেশে ইউএসজিবির সনদ পাওয়া সবুজ কারখানার মধ্যে রয়েছে প্লাটিনাম ৬০টি, গোল্ড ১১০টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড ৪টি। এতে সর্বমোট গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৪টিতে।
সবুজ কারখানায় উৎপাদিত পোশাকের গায়ে একটি গ্রিন ট্যাগ সংযুক্ত থাকে। এর অর্থ পণ্যটি সবুজ কারখানায় উৎপাদিত। সাধারণ ভোক্তার কাছে এর আলাদা কদর আছে। বিদেশি বড় বড় ব্র্যান্ড এবং ক্রেতার আস্থা বাড়ে এতে। ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতেও এগিয়ে থাকা যায়। এমনকি দেশের এবং পোশাকখাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়ে এতে।
এএ