রজব মাসের তাৎপর্য ও আমল
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৩-০১-২৭ ১১:৪৮:৫০
আমাদের রাসূল (সা.) রজব মাস সম্পর্কে খুবই গুরুত্ব দিতেন। তিনি রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলেই কিছু বিশেষ আমল শুরু করতেন। হজরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, যখন রজব মাস শুরু হতো, নবি করিম (সা.) তখন এ দোয়াটি পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শাবান, ওয়াবাল্লিগনা রমাদান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত হায়াত বৃদ্ধি করে দিন।’ (আলমুজামুল আওসাত, হাদিস: ৩৯৩৯)।
রজব মাসের রোজা: রজব মাসে রোজা রাখার ভিন্ন কোনো ফজিলত নেই। তবে হ্যাঁ, এমনিতেই নফল রোজা রাখা অনেক ফজিলতপূর্ণ আমল। প্রখ্যাত মুহাদ্দিস হাকেম ইবনে হাজার (রহ.) লিখেছেন, বিশেষভাবে রজব মাসে রোজার ফজিলত সম্পর্কে সহিহ ও আমলযোগ্য কোনো হাদিস নেই। (তাবইনুল আজার বিমা ওরাদা ফি ফজলি রজব, পৃষ্ঠা ১১)।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসূলে (সা.)কে রজব ও শাবান মাসে এত বেশি রোজা রাখতে দেখেছি, রমজান ছাড়া অন্য কোনো মাসে এত রোজা রাখতে দেখিনি। স্রষ্টার পরে মাখলুকের মধ্যে রাসূলেপাক (সা.) এর প্রথম স্থান হওয়ার পরও তিনি রমজানের প্রস্তুতি হিসাবে রজব মাস থেকে রোজা রাখা শুরু করতেন। তাই আমরাও যদি এ রজব মাস থেকে পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতি নিতে থাকি আর আল্লাহর কাছে দোয়া করতে শুরু করি যে, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সুস্থ রাখ, আমি যেন আগত রমজানে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি ইবাদত-বন্দেগি, দান-খয়রাত, কুরআন পাঠসহ সব পুণ্য কর্ম বেশি বেশি করতে পারি।
এছাড়া হজরত রাসূল করিম (সা.) শাবান মাসেও অনেক বেশি ইবাদত করতেন আর তিনি (সা.) রমজান ছাড়াও প্রতি মাসে নফল রোজা রাখতেন আর বিশেষ করে রজব মাসে। আমরাও যদি মহানবি (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী প্রতি মাসে কয়েকটি করে নফল রোজা রাখি, তাহলে রমজানের রোজা আমাদের জন্য আরও সহজ হবে। এ ছাড়া আমরা যদি মনের সব দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলে দিয়ে রজব মাস থেকেই রমজানের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি গ্রহণ করি, তাহলে আমাদের সব ইবাদত বন্দেগি হবে প্রশান্তিময়।
এম জি