বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে ৫০ টাকা কমিশন দাবি

প্রকাশ: ২০১৬-০৪-১৬ ১৪:৫১:৪৯


simবায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে প্রতিটি সিম নিবন্ধনে কোম্পানিগুলোর কাছে ন্যূনতম ৫০ টাকা কমিশনসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলি-রিচার্জ অ্যান্ড মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়িক অ্যাসোসিয়েশন। নইলে অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে সংগঠনটি।

শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মো. নুরুল হুদা বলেন, ‘সঠিকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের মাধ্যমে আমরা সামাজিক শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চাই। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যারা ‍যুক্ত রয়েছে, তাদের কোম্পানিগুলো প্রতিটি সিম রি-রেজিস্ট্রেনে কমিশন হিসেবে মাত্র ১ টাকা ৮০ পয়সা প্রদান করছে, যা রিটেইলারদের প্রতি প্রবঞ্চনার শামিল। কারণ, প্রতিটি সিম রি-রেজিস্ট্রেশন করতে গড়ে ১৫-২০ মিনিট ব্যয় হয়। সে বিবেচনায় এক দিনে ৮ ঘণ্টা পরিশ্রম করে ৩৩টি সিম রি-রেজিস্ট্রেশন করে একজন রিটেইলার পাচ্ছেন মাত্র ৬০ টাকা। এতে করে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘২০০৮ সালে প্রতিটি সিম রি-রেজিস্ট্রেশন বাবদ আমাদের কোম্পানিগুলো ২৫ টাকা প্রদান করেছিল। অথচ বর্তমানে কোম্পানিগুলো অন্যায় আচারণ করছে। তা ছাড়া কোম্পানিগুলো তাদের কর্মচারীকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধনের কাজ করাচ্ছে। সেখানে একই কাজের জন্য আমাদের কম পারিশ্রমিক দিচ্ছে। তাই সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন সফল করতে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে আরো যে সাতটি দাবি তুলে ধরা হয় তা হলো- রিচার্জে প্রতি হাজারে ১০০ টাকা প্রদান, শুধু মোবাইল ফোন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দোকানেই রিচার্জ সিম প্রদান, রিচার্জ সিমে কোম্পানিগুলো কর্তৃক বাধ্যতামূলক স্টক ব্যালেন্স রাখার নিয়ম প্রত্যাহার, দ্রুত সময়ের মধ্যে সিম রিপ্লেসমেন্টের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বিকাশ এজেন্টেদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, এজেন্ট নাম্বার হ্যাকিং বা ক্লোনিং কলের মাধ্যমে এজেন্টের অর্থ আত্মসাৎ হলে কোম্পানিগুলোকে দ্রুত ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা করা,  যেকোনো ধরনের আর্থিক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পেতে এজেন্ট সিমগুলোকে কোম্পানি কর্তৃক বিমা সুবিধার আওতায় আনা এবং টেলি রিচার্জ ব্যবসায়ীদের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় প্রয়োজনীয় ব্যাংকঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা।

সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী সাত দিনের মধ্যে টেলি কোম্পানিগুলোকে এই দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ টেলি-রিচার্জ অ্যান্ড মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়িক অ্যাসোসিয়েশন। তা না হলে দোকান বন্ধসহ লাগাতার অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেবে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রিপন ও প্রচার সম্পাদক জাকির হোসেনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।