লাফিয়ে বাড়ছে ভারতীয় চালের চাহিদা

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৩-০২-০১ ০৯:২৯:১০


বর্তমানে ভারতীয় চালের রফতানি মূল টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো দুই বছরের সর্বোচ্চে অবস্থান করছে । তবে দাম বাড়লেও তা এশিয়ার অন্যান্য শীর্ষ রফতানিকারক দেশের তুলনায় কম। এ কারণে আমদানিকারক দেশগুলোয় ভারতীয় চালের চাহিদা লাফিয়ে বাড়ছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

ভারতীয় ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল চলতি সপ্তাহে টনপ্রতি ৩৮৭-৩৯৫ ডলারে রফতানি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও একই দামে রফতানি হয়েছিল।

মুম্বাইভিত্তিক এক রফতানিকারক বলেন, সম্প্রতি দাম বাড়লেও অন্যান্য গন্তব্যের তুলনায় কম দামে ভারতীয় চাল কিনতে পারছেন ক্রেতারা।

করোনাকালে বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ প্রোগ্রাম চালু করেছিল ভারত। সম্প্রতি প্রোগ্রামটি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। বিপরীতে স্বল্প মূল্যে খাদ্য সরবরাহ প্রোগ্রাম গ্রহণ করা হয়েছে। এতে দেশটিতে চালের সরবরাহ সংকুচিত হয়ে উঠছে।

এদিকে থাইল্যান্ড ৫ শতাংশ ভাঙা চাল টনপ্রতি ৫০০ ডলারে বিক্রি করছে। গত সপ্তাহেও প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছিল। ২০২১ সালের মার্চের পর সর্বোচ্চে উঠেছে দেশটির চালের দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, থাইল্যান্ডের মুদ্রা বাতের বিনিময় মূল্য বাড়ায় ডিলারদের মুনাফা মার্জিন কমে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে লোকসান এড়াতে তারা বেশি দামেই শস্যটি রফতানি করছে।

ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, নতুন করে থাই চালের চাহিদা বাড়ছে না বললেই চলে। কারণ ভারতের চেয়ে বেশি দামে থাই চাল রফতানি হচ্ছে। এছাড়া উৎপাদন মৌসুম শেষ হয়ে আসায় স্থানীয় সরবরাহও কমছে। বাতের মূল্যবৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে চাল রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।

বাতের বিনিময় মূল্যবৃদ্ধির কারণে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে দেশটির চাল রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন। ২০২৩ সালের জন্য ৭৫ লাখ টনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০ লাখ টন।

অন্যদিকে লুনার নিউ ইয়ারের ছুটির কারণে ভিয়েতনামের রফতানি বাজার চলতি সপ্তাহে বন্ধ রয়েছে। গত সপ্তাহে ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ ভাঙা চাল টনপ্রতি ৪৪৫-৪৫০ ডলারে বিক্রি হয়েছে।

এনজে