কাউন্সিলের প্রস্তুতি কমিটিতে বহিষ্কৃতরাও
প্রকাশ: ২০১৬-০৪-১৮ ১০:৫৪:৪৮
আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত প্রস্তুতি কমিটিতে বহিষ্কৃত এবং বিতর্কিত নেতারাও ঠাঁই পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দলের অনেক ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে এসব বিতর্কিত নেতাদের জায়গা দেয়ায় খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, দলের দুঃসময়ের নয়, সুসময়ের অনেকেই রয়েছেন এবারের প্রস্তুতি কমিটিতে।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লায় দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় বহিষ্কার হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। অভিযোগ রয়েছে জামায়াত-বিএনপির ভোটের ওপর ভর করে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিলের প্রস্তুতি কমিটিতে রাখা হয়েছে তাকে।
দলের অনেকেই অভিযোগ করেন, এরকম বিতর্কিত এবং গুরুত্বহীন ব্যক্তিরাও এবার ঠাঁই পেয়েছেন প্রস্তুতি কমিটিতে। জায়গা পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকরাও।
অভ্যর্থনা উপ-পরিষদ-এর সদস্য হয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালেয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানও। রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মো. ছামাদ ও শাম্মী আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংস্কৃতিকর্মীদের এভাবে গুরুত্ব দেয়ায় অনেকেই বিষয়টিকে সমালোচনার চোখে দেখছেন। বলছেন, আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দলের কাউন্সিলের প্রস্তুতি কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বা শিক্ষকদের জায়গা দেয়া একেবারেই বেমানান লাগছে। এই নীতি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যায় না।
প্রচার উপ-কমিটির এক নেতা বলেন, ‘অনেক ত্যাগী নেতাকে প্রস্তুতি কমিটিতে রাখা হয়নি। যারা সুসময়ের সুবিধা নিতে দলে ভেড়েন, তাদের অনেককেই জায়গা দেয়া হয়েছে। এ কারণে সংগঠনের মধ্যে ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর এক সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘উপমহাদেশের অন্যতম বড় একটি দলের কাউন্সিল হতে যাচ্ছে। পরিধি বাড়ছে। এ কারণে প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সংখ্যাও বাড়াতে হয়েছে। তবে আরেকটু মূল্যায়ন করে কমিটি করতে পারলে ভালো হতো। এতে দলের জন্য যারা নিবেদিত, তারাও মূল্যায়িত হতো।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ১০ ও ১১ জুলাই সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এ উপলক্ষে প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান, সদস্য সচিব ও সদস্যদের নাম ঘোষণা ছাড়াও ১১টি উপ-কমিটি অভ্যর্থনা উপ-পরিষদ, অর্থ উপ-পরিষদ, ঘোষণাপত্র উপ-পরিষদ, গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদ, দফতর উপ-পরিষদ, প্রচার ও প্রকাশনা উপ-পরিষদ, স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-পরিষদ, মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপ-পরিষদ, সাংস্কৃতিক উপ-পরিষদ, খাদ্য উপ-পরিষদ ও স্বাস্থ্য উপ-পরিষদের সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়।
প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে।