সৌদি আরবে চাকরি: পাঁচ খাতে দক্ষতার সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০২-০৭ ১৯:৪৭:২৬


পাঁচটি খাতে কাজ করতে সনদ (সার্টিফিকেট) বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি আরব। ওই খাতগু‌লোতে বিদেশিদের কাজ করতে দেশ‌টির সনদ লাগবে। দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে ওই খাতগুলোতে বাংলাদেশ থেকে দেশ‌টির সহায়তায় সনদ পেতে এক‌টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সেই উদ্দেশে বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং সৌদি সরকারি সংস্থা তাকানল-এর মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সৌদি দূতাবাসে স্কিল ভেরিফিকেশন চুক্তি নি‌য়ে আয়ো‌জিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহাইলাম।

যে পাঁচটি খাতে কাজ কর‌তে সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেগু‌লো তু‌লে ধ‌রে রাষ্ট্রদূত জানান, সৌদি আরবে প্লাম্বার, ওয়েল্ডিং, অটোমোবিল, ইলেক্ট্রিশিয়ান এবং এসি মেকানিক খা‌তে বি‌দে‌শি শ্রমিকরা কাজ কর‌তে গে‌লে তা‌দের জন‌্য সনদ বাধ্যতামূলক।

অনুষ্ঠা‌নে জানা‌নো হয়, সনদ পাওয়ার জন‌্য কর্মী‌দের ওই খাতগু‌লোর ওপর পরীক্ষায় বস‌তে হ‌বে। বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান ওই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে। এজন্য শ্রমিকদের কোনো অর্থ দেওয়া লাগবে না। একজন বাংলাদেশি যতবার ইচ্ছা ততবার পরীক্ষা দিতে পারবে। সার্টিফিকেট পাওয়ার পর এর মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।

রাষ্ট্রদূত ব‌লেন, সৌ‌দির ২০৩০ ভিশন বাস্তবায়নে এ আয়োজন করা হচ্ছে। চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন একটি দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। বিশ্বের অনেক দেশে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।

শ্রমিক‌দের বেতনের বিষ‌য়ে রাষ্ট্রদূত ব‌লেন, অদক্ষ শ্রমিকরা এমনিতেই কম বেতন পায়। যে পাঁচ‌টি খা‌তে সনদ নি‌য়ে কর্মীরা যাবেন, তারা দক্ষ কর্মী। তা‌দের বেতন অবশ্যই অদক্ষ‌দের চে‌য়ে অনেক বে‌শি হ‌বে। নতুন এই ব্যবস্থার কারণে প্রথাগত শ্রমিকদের সৌদি আরবে যেতে কোনো বাধা নেই ব‌লেও জানান রাষ্ট্রদূত।

সনদ পে‌তে কর্মী‌দের যে পরীক্ষা নেওয়া হ‌বে, তা‌তে কী কী বিষয় থাক‌তে পা‌রে জান‌তে চাইলে রাষ্ট্রদূত ব‌লেন, আরবি ভাষা ও কিছু রীতি-নীতি থাকবে এবং তারা নতুন যন্ত্রপাতি যেমন- মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা এ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করতে পারে কিনা, এগু‌লো দেখা হ‌বে।

বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম ব‌লেন, কোনো শ্রমিক সৌদি আরবে যেতে চাইলে এসভিপি কোয়ালিফাই হতে হবে। অদক্ষ শ্রমিকের তকমা আর থাকবে না। আগে টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে, তারপর তারা বি‌দেশ যেতে পারবে।

শহীদুল আলম জানান, শুরু‌তে ১ হাজার কর্মীর জন্য এ পাইল‌টিং প্রকল্প নেওয়া হ‌য়ে‌ছে। শুধু টাকা দিলেই বিদেশে যাওয়া যাবে না বরং পদ্ধতিগতভাবে যাবার ব্যবস্থা করতে হ‌বে। এ পদ্ধতিতে কর্মীরা চাকরির নিশ্চয়তা ও সম্মানজনক বেতন পাবেন। এতে অভিবাসন খা‌তে শৃঙ্খলা আস‌বে।

এএ