ফেরত পেল রিজার্ভ চুরির আরো ৩৪ কোটি টাকা

প্রকাশ: ২০১৬-০৪-১৯ ১৪:১৯:৩৩


bangladeshবাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থের আরো ২০ কোটি পেসো ফেরত দিয়েছে ফিলিপাইনের জুয়ারি কিম অং। বাংলাদেশি টাকায় এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩৪ কোটি টাকা। খবর বিবিসির।

এ মাসের মধ্যেই আরো ৪৫ কোটি পেসো (ফিলিপাইনের মুদ্রা) ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন কিম অং। এর আগে আইনজীবীর মাধ্যমে ৩৬ কোটি ৮০ ডলার ফেরত দিয়েছেন তিনি। তবে এই অর্থ ফেরত পেতে হলে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে ফিলিপাইনে মালিকানা দাবি করতে হবে। মঙ্গলবার ফিলিপাইনের সিনেটের ব্লু রিবন কমিটির শুনানিতে এই তথ্য জানান দেশটির অর্থ পাচার দমন কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া বাচায় আবাদ।

ব্লু রিবন কমিটির চেয়ারপার্সন তিওফিস্তো গুইগোনা মিজ আবাদের কাছে ২০ মিলিয়ন পেসো ফেরতের বিষয়ে জানতে চান। সেসময় আবাদ জানান, ইস্টার্ন হাওয়াই লেজার কোম্পানি লিমিটেডের আইনজীবীর মাধ্যমে সোমবার ২শ মিলিয়ন পেসো (২০ কোটি) ফেরত পাওয়া গেছে। তবে টাকা ফেরত পেতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণসহ আবেদন করতে হবে। এই টাকা যে তাদের সেটা তাদের প্রমাণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তাদের অর্থ ফেরত দেয়া হবে।

ফিলিপাইনের আইন অনুযায়ী জব্দ করা অর্থ ফেরত পেতে বাংলাদেশকে মালিকানা দাবি করতে হবে এবং প্রমাণ করতে হবে যে আইনসম্মতভাবে এই অর্থ তাদের। না হলে সেই অর্থ ফিলিপাইনের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। এছাড়া চুরির হয়ে যাওয়া কোন অর্থ যদি ক্যাসিনোগুলোর একাউন্টে থাকে বা এসব অর্থের বিনিয়োগে লাভের অংশ থাকে তবে তাও জব্দ করা সম্ভব বলে তিনি জানান।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপাইনে। বাকিটা যায় শ্রীলঙ্কায়। এই চুরির বিষয়ে ফিলিপাইনের সিনেট কমিটিতে শুনানি চলছে।

সানবিডি/ঢাকা/আহো