বীজের ব্যবহার ৩৩ শতাংশ উন্নত হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০২-০৯ ১৩:২৭:৫৪


দেশে মানসম্পন্ন বীজের ব্যবহার ৩৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থাটি জানায়, ২০০৯ সালে এই হার ছিল ২০ শতাংশ। সার্বিকভাবে মানসম্পন্ন বীজের হার ৩৩ শতাংশ হলেও সবজি, ভুট্টা, ধান, পাট বীজের ক্ষেত্রে এই হার সবচেয়ে বেশি, ৫৯.২ শতাংশ। তবে আলু বীজের ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন বীজের ব্যবহার মাত্র ১৬.৩৮ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিড কংগ্রেসের প্রধান সমন্বয়ক ও সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম আনিস উদ্ দৌলা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে এখন মোট বীজের প্রয়োজন ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩৬ মেট্রিক টন। যার মধ্যে শুধু আলু বীজের প্রয়োজনই হয় সাত লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৫ মেট্রিক টন।

এ সময় আনোয়ার ফারুক বলেন, দ্রুত সময়ে আমাদের কৃষিতে অর্জিত হয়েছে অনেক সাফল্য। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যনির্ভর বাংলাদেশ আজ খাদ্য উৎপাদন স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে কিছু ফসলের ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত হয়েছে। আমাদের কৃষির সাফল্য আজ বিশ্বস্বীকৃত। প্রতিকূল পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত, জনসংখ্যাবৃদ্ধি সত্ত্বেও কৃষিতে আমাদের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক।

তিনি বলেন, আমাদের কৃষির সাফল্যের মূলেই আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার। সরকারের কৃষিবান্ধব নীতিমালা ও কৃষিকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার প্রদান, মানসম্পন্ন বীজের ব্যবহার বৃদ্ধি। এদেশে মানসম্পন্ন বীজের ব্যবহার ৬০ এর দশক সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএডিসি শুরু করে। ৭০ এর দশকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কিছু উৎসাহী ব্যবসায়ী ক্ষুদ্রপরিসরে বীজ ব্যবসা শুরু করেন। ৮০ ও ৯০ এর দশকে বীজ ব্যবসায় বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে। আমাদের সরকার প্রণীত বীজনীতি, বীজ আইন ও বীজ বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে বেসরকারি খাত বীজ ব্যবসায় এগিয়ে আসতে থাকে।

সিড কংগ্রেসের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, বেসরকারি বীজ ব্যবসায়ীরা এ সময় বিদেশ থেকে উন্নতমানের হাইব্রিড সবজি বীজ আমদানি করে বাজারজাত করতে থাকেন। ১৯৯৯ সালে বর্তমান সরকার হাইব্রিড ধানবীজ অবমুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশে বীজ ব্যবসায় বেসরকারি খাতের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন। ২০০০ সাল থেকেই বেসকারি বীজ ব্যবসার কলেবর উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে থাকে, দেশে মানসম্পন্ন বীজের ব্যবহারও বাড়তে থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বেসরকারি খাত বীজ শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশের মোট বীজ সরবরাহের ৫৩ শতাংশ বীজ সরবরাহ করে বেসরকারি খাত। ধানবীজের ৪৪ শতাংশ, হাইব্রিড ধানের ৯৭ শতাংশ, ভুট্টার ১৯ শতাংশ, সবজি বীজের ৮৬ শতাংশ, আলু বীজের ৭৪ শতাংশ, পাট বীজের ৮৩ শতাংশ বীজ সরবরাহ করছে বেসরকারি খাত।

আনোয়ার ফারুক বলেন, আমাদের বীজ আজ শিল্পে উন্নীত হয়েছে। সুসংহত সুসংগঠিত একটি খাত। এখানে সরকারি ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। বেসকারি খাত সরকারের সম্পূরক হিসেবে কাজ করছে।

আই এইচ