রমজান উপলক্ষে নিত্য পণ্যের দাম কমবে : এফবিসিসিআই সভাপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২৩-০২-১২ ২০:১৬:৩৮
আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি, মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় এই কথা জানান তিনি ।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দাম বৃদ্ধি ও মজুদের নাটক সিনেমা বন্ধ করতে হবে। মাল বিক্রি করলে থাকতে হবে রিসিট অবশ্যই থাকতে হবে, টাকা দিবেন আর রিসিট থাকবে না এটা চলবে না। বাংলাদেশ উন্নত থেকে স্মার্ট যুগে প্রবেশ করছে। এই স্মার্ট বাংলাদেশে চুরি চলবে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা অবৈধ ব্যবসা করি না। সুতরাং নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ব্যবসা করতে হবে আমাদের। বিগত সময়ে ব্যবসায়ীদের প্রতি সাধারণ মানুষের যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে তা দূর করতে হবে।এসময় চাল, গম ইত্যাদি পণ্য উৎপাদন করে সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য কৃষক ও খামারিদের ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো প্রবাসীদেরকেও ধন্যবাদ জানান ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হলে ব্যবসায়ীদের অসাধু তকমা দেওয়া হয়, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি বন্ধে বিক্রয়ের পাকা রশিদ বা ভাউচার থাকা আবশ্যক বলে জানান তিনি।
দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে বেসরকারি খাতের বিরাট ভূমিকার কথা উল্লেখ করে টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আরিফুল হাসান, পি.এস.সি. বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের আমদানি, মজুদ ইত্যাদি নিয়ে বাজারে যে অভিযান আমরা করি, সেগুলো করতে চাইনা আমরা। ব্যবসায়ীরাই নিজেরা সামাধান করতে পারে এগুলো।
এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে বাজার তদারকির পরেও রোজা বা ঈদকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধি পায়, যা লজ্জ্বাজনক। ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ দেশের সার্বিক অবস্থা বিবচনা করে এ সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
সভায় উপস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় মিলমালিকরা জানান, এলসি কম হওয়ার কারনে বাজারে পণ্যের সরবরাহও কম হয়, যা বাজারে মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। এছাড়া ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও কারখানায় গ্যাস সংকটও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারন। চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্য কমাতে শুল্ক পুনর্গঠণের দাবি জানান তারা।
পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা জানান, বাজারে ভোজ্যতেলের কোনো সংকট নেই। তবে তিনি বলেন, তেলের মূল্য পাইকা্ররা নির্ধারণ করিনা, মিলমালিকরাই রিফাইন ও মূল্য নির্ধারণ করে। তারাই চাইলে দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন করতে পারে।
সভায় উপস্থিত দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যাবসায়ীরা জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে হলে অবশ্যই সাপ্লাই ঠিক রাখতে হবে। সরকারের কাছে আবেদন রমজান মাস উপলক্ষে ট্যাক্স কমিয়ে আনার জন্য। চিনি বর্তমান বাজারে ১০৫ টাকা থেকে ১০৭ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যদি ভারত থেকে আমদানি ও ব্যাংক থেকে থেকে সুযোগ সুবিধা আমাদের দেয়া হয় তাহলে এই চিনি বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকা আনা সম্ভব। ।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নিত্যপণ্য আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ।
আই এইচ