গুচ্ছভিত্তিতে হবে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২৩-০২-১৫ ০৮:৫৪:২৫


এখন থেকে বিভাগের সমন্বয়ের করা গুচ্ছ ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এ পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ চার মাস সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষার উদ্যোগ ও অর্জন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সচিব এ তথ্য জানান। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সচিব বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষক নিয়োগ করেছি। এরমধ্যে দুই হাজার ৫০০ জন যোগদান করেননি। আমরা চাচ্ছি আমাদের কোনো শিক্ষকের পদ যাতে শূন্য না থাকে। এখন আরও সাত হাজারের মতো পদ শূন্য আছে। সেটার (নিয়োগের) ছাড়পত্র আমরা এরইমধ্যে দিয়ে দিয়েছি। গতকাল মন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ সাত হাজার শিক্ষকের পদও আমরা অনতিবিলম্বে পূরণ করবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে নিয়োগটি করেছি, এটা সম্পন্ন করতে দুই বছর সময় লেগেছে। বুয়েটের সর্বোচ্চ কারিগরি সহায়তা নিয়ে আমরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা এটা করেছি। বুয়েটের সঙ্গে এরইমধ্যে আমাদের কথা হয়েছে, আমরা যাতে এ প্রক্রিয়াটা পরিবর্তন করতে পারি। প্রতি বছর ৬ হাজার শিক্ষক পিআরএলে চলে যায়। একটি নিয়োগ যদি সম্পন্ন করতে দুই বছর চলে যায়, তাহলে আরও ১২ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য হয়।’

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা ক্লাস্টার (গুচ্ছ) ভিত্তিক নিয়োগে যাব। আমরা এরইমধ্যে ৩-৪টা ক্লাস্টার করেছি। যেমন- বরিশাল ও রংপুর বিভাগ মিলে একটি ক্লাস্টার। এভাবে বিভাগভিত্তিক কাস্টার নিয়োগের আমরা যাবো। বুয়েটের সহায়তার সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন করতে পারবো। সেই আলোকে আমরা এরমধ্যে ছাড়পত্র দিয়েছি।’

শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণের মেয়াদ ১০ মাস
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, ‘আমরা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এডুকেশন মুড থেকে বের করে চাহিদাভিত্তিক মৌলিক প্রশিক্ষণে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমানে প্রশিক্ষণের মেয়াদ দেড় বছর (১৮ মাস)। এ সময়ের ৬ মাস শিক্ষকরা স্কুলে সংযুক্ত থাকতেন। স্কুলের থাকার সময়ের কোনো মনিটরিং নেই, কোনো মূল্যায়ন নেই। শিক্ষার্থীদের মেন্টরিং করার জন্য শিক্ষণ পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু এখন প্রশিক্ষণে শিখন পদ্ধতির ওপর কম গুরুত্ব দেওয়া আছে, তাত্ত্বিক বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া আছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন সবার মতামত নিয়ে প্রশিক্ষণ কোর্স পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্কুলে সংযুক্ত থাকার সময়টাকে মূল্যায়নের আওতায় এনে প্রশিক্ষণের মেয়াদ হবে ১০ মাস। এটি যুগের চাহিদা মেটাবে। বাচ্চাদের মেন্টরিং করার জন্য যথাযথ বিবেচিত হবে। এটি বাধ্যতামূলকভাবে আবাসিক প্রশিক্ষণ হবে।’

নতুন প্রশিক্ষণ কোর্সের নাম দেওয়া হয়েছে প্রাইমারি টিচার্স বেসিক ট্রেনিং (পিটিবিটি) জানিয়ে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘এটি যুগের চাহিদা মেটাবে। মোটিভেটেড শিক্ষক হতে হবে। ভালো মেন্টর হতে হবে, আমর শিক্ষাবিদ দরকার নেই।’

এএ