লালমনিরহাটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

প্রকাশ: ২০১৬-০৪-২১ ১৯:৩৪:২৭


lilnonirhat-lig20160421130143লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির বৈধতা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আমতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর শহরে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগ সভাপতি সম্পাদকরা স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। এতে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে ‘অবৈধ” আখ্যা দিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গড্ডিমারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রানা। পরে সংবাদ সম্মেলন শেষে ছাত্রলীগের ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

মিছিলটি উপজেলার আমতলা বাজার এলাকায় আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংর্ষের সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অপর পক্ষের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। এসময় কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করে। সংঘর্ষে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গড্ডিমারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রানা অভিযোগ করে বলেন, আমরা সংবাদ সম্মেলন শেষে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। কিন্তু উপজেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন সন্ত্রাসী আমাদের মিছিলে হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে।

হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম শাহরিয়ার জিহান বলেন, দুপুরে আমরা কয়েকজন নেতাকর্মী মিলে উপজেলার আমতলা বাজারে যায়। এসময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতকর্মীরা আমাদের হামলা চালায়।

হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন প্রধান বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংষর্ষের ঘটনায় শুনেছি। কেউ মামলা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সানবিডি/ঢাকা/আহো