বাধ্যতামূলক অবসরে রাবি অধ্যাপক

প্রকাশ: ২০১৬-০৪-২৩ ১০:০৬:৫৪


rabiরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মজুমদারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৪৬৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তবে ‘যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ অভিযোগ কমিটি গঠন বিধি অনুযায়ী ছিল না’ উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন রাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষক কামরুল হাসান মজুমদার রাবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ শিক্ষক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালের ২৭ এপ্রিল অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করে। নিপীড়ন নিরোধ কমিটির সুপারিশ সিন্ডিকেটে ৪৬১তম সভায় উত্থাপন করা হয়। সভায় রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান পুনরায় তদন্তের দাবি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাবি কোষাধ্যক্ষ সায়েন উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি পুনরায় তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন জমা দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন সিন্ডিকেট সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ নিয়ে সিন্ডিকেট বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা শেষে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়। এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেন।

এ ব্যাপারে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ অভিযোগ কমিটির কার্যক্রম বিধি অনুযায়ী পরিচালিত হয়নি। এই কমিটির অনেক সদস্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তারা কার্যক্রম চালিয়েছে। তাই সিন্ডিকেট বৈঠকে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে একটি স্বচ্ছ কমিটি গঠনের কথা বলেছি।

সানবিডি/ঢাকা/হৃদয়/এসএস