ব্যাংকার থেকে মালিক হচ্ছেন মিডল্যান্ডের কর্মকর্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০২-১৯ ১৯:৪৯:১১


পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ ৫ কোটি টাকার আইপিও আবেদনের সকল পে-অর্ডার, সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ হাউজে নগদায়ন হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকটির শেয়ার ধারণে আগ্রহী কর্মচারীদের জন্যে শেয়ার বরাদ্দের লক্ষে ইএসএস ডাটাবেজ ডিএসসির মাধ্যমে আপলোড করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ব্যাংকের মালিকানায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ব্যাংকাররা।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকটির কর্মচারীদের আইপিও কোটার আবেদন সম্পন্ন হয়েছে। এমপ্লয়িজ শেয়ার পারচেস প্ল্যান (ইএসপিপি) এর অধীনে মোট আইপিও শেয়ারের ৭.১৪ শতাংশ ব্যাংকের কর্মচারীদের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।

মিডল্যান্ড ব্যাংকের কোম্পানি সচিব খালিদ মোহাম্মদ শরীফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ব্যাংকের বোর্ড এবং বিএসইসির কতৃর্ক অনুমোদিত ৫ কোটি টাকার শেয়ার সম্পূর্ণভাবে সাবস্ক্রাইব হয়েছে। আমাদের ১৭৩ জন কর্মচারীর কাছ থেকে আমাদের এই ৫০ লাখ শেয়ারের সাবস্ক্রিপশন সম্পন্ন হয়েছে। একটা ভিত্তিহীন গুঞ্জন শুনেছি আমরা, যে ব্যাংকের কর্মচারীরা শেয়ার ক্রয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। আসলে বিষয়টি মোটেও এমন নয়। বরং আইপিও অনুমোদনের শর্ত অনুযায়ী ৫ কোটি টাকার কর্মচারীদের বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ার কারনে শেষের দিকে কয়েকজন কর্মচারীকে চাহিদামতো শেয়ার বরাদ্দ দেয়া যায় নি।

তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের কর্মচারীরা ব্যাংকের শেয়ার ধারণ করুক। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে তারা আরও আপন করে নেবেন এবং আরও দায়িত্বের সাথে তারা কাজ করবেন।

গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া ব্যাংকটির প্রাথমিক গনপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন চলবে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর মাধ্যমে ৭০ কোটি টাকার পুঁজি সংগ্রহ করবে ব্যাংকটি। ব্যাংক কর্মচারীদের মধ্যে বন্টন করা হবে ৫০ লাখ শেয়ার। বাকি ৬ কোটি ৫০ লাখ সাধারণ শেয়ার বিক্রি করা হবে যোগ্য বিনিয়োগকারী ও সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) বিধিমালা, ২০১৫ অনুসরণ করে বিতরণ করা হবে শেয়ারগুলো। শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত আয় আইপিও খরচ মেটানোর পাশাপাশি সরকারি সিকিউরিটিজ ও সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করা হবে।

সাধারন বিনিয়োগকারী এবং অনাবাসী বাংলাদেশীরা সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার শেয়ার কেনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এজন্য গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এর বাজার মূল্যে যথাক্রমে ন্যূনতম ৫০ হাজার এবং ১ লাখ টাকার শেয়ার থাকতে হবে। আবেদন জমা দিতে ইচ্ছুক প্রত্যেক যোগ্য বিনিয়োগকারী, অনুমোদিত পেনশন তহবিল, স্বীকৃত ভবিষ্যত তহবিল এবং অনুমোদিত গ্র্যাচুইটি তহবিলের জন্য ন্যূনতম ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ওপেন-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য। তালিকাভুক্ত শেয়ারে বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ৩ কোটি টাকা।

এএ