চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একযোগে ৩৫ স্বেচ্ছাসেবককে ছাটাই
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৩-০২-২০ ১৩:২৮:২০
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত স্বেচ্ছাসেবকদের ৩৫ স্বেচ্ছাসেবককে ছাটাই করেছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বেচ্ছাসেবকদের স্বেচ্ছাচারিতা, রোগীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগে ছাটাই করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তবে স্বেচ্ছাসেবকদের অভিযোগ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আইপিএস চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সবাইকে ছাটাই করেছে।
জানা গেছে, চলতি মাসে যে কোনো সময় সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে সরকারি আইপিএস চুরির ঘটনা ঘটে। গত পরশু শনিবার বিষয়টি নজরে আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। এরপরই শুরু হয় অনুসন্ধান। হাসপাতাল জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চোর পুলিশের তৎপরতায় এক ঘণ্টার মধ্যে ফেরত দিয়ে যায় আইপিএসটি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমান বলেন, জরুরি বিভাগ থেকে আইপিএসটি উজ্জ্বল নামে এক স্বেচ্ছাসেবক চুরি করেছিল। বিষয়টি আমার নজরে আসলে পুলিশের হস্তক্ষেপে এক ঘন্টার মধ্যে আইপিএসটি ফেরত দিয়েছে এই স্বেচ্ছাসেবক। জরুরি বিভাগের রোগীদের থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায়, হয়রানি সহ অনিয়মের অভিযোগে সকল স্বেচ্ছাসেবকদের ছাটাই করা হয়েছে।
জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চার শিফটে মোট ৩৫ স্বেচ্ছাসেবক রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন। ছাটাইয়ের খবরে অনেক স্বেচ্ছাসেবককে ক্ষোভে ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, আইপিএস চুরির ঘটনা কেন্দ্র করেই আমাদের ছাটাই করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমরা স্বেচ্ছায় কাজ করলেও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করি। একজনের কারণে আমাদের সকলের ওপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া অন্যায়। ওই সেচ্ছাসেবকের সঙ্গে আরও দুজন ছিল বলে শোনা যাচ্ছে। তার নাম প্রকাশ করলেও বাকি দুজনের নাম প্রকাশ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এটা দুঃখজনক।
আই এইচ