জ্ঞান দিয়ে মাথা ভরালে চলবে না, বিপদ হতে পারে

প্রকাশ: ২০১৬-০৪-২৪ ১০:৩৫:৫১


Nahidশুধু প্রযুক্তিতে পারদর্শী বা জ্ঞান অর্জন করলেই হবে না, ভালো মানুষ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, ভালো মানুষ না হলে প্রযুক্তি বা জ্ঞানের অপব্যবহার বাড়বে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জ্ঞান দিয়ে মাথা ভর্তি করে ফেললে চলবে না, বিপদও হতে পারে।

আর এ জন্য তিনি বই পড়ার ওপর গুরত্বারোপ করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘বই পড়তে হবে। বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বই পড়াকে সামজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’

শনিবার ( ২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইস্ফেন্দিয়ার জাহিদ হাসান মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন : অগ্রগতি ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বই পড়লে জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। শুধু ছেলেমেয়েদের জ্ঞান ও প্রযুক্তির দিক দিয়ে বিশ্বমানের করে গড়ে তুললে হবে না, তাদের নৈতিক মূল্যবোধ, সততা, নিষ্ঠা, প্রজ্ঞাবোধ এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত এক পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, যারা দেশকে ভালোবাসবে।’

প্রযুক্তির খারাপ ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জ্ঞান দিয়ে মাথা ভর্তি করে ফেললে চলবে না, বিপদও হতে পারে। আমি যখন প্রযুক্তি ভালোভাবে আয়ত্ত করব, যদি আমি ভালো মানুষ না হই তাহলে এটা খারাপ কাজে লাগাতে পারি। বিজ্ঞানের বড় বড় আবিষ্কার হচ্ছে মানুষের কল্যাণের জন্য। কিন্তু এটি খারাপ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা ভালো মানুষ তৈরি করতে চাই। ভালো জ্ঞান অর্জনের মধ্য দিয়ে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে এসে বই পড়া ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশ নিমার্তা হিসেবে গড়ে তোলা। তরুণ প্রজন্মের শিক্ষা, জ্ঞান, প্রযুক্তির উপর দক্ষতা বিশ্বমানের হতে হবে। দক্ষ কর্মী না থাকার কারণে গার্মেন্টসে ১৯ হাজার বিদেশি বাংলাদেশে জব করছে। এই দক্ষতা অর্জনের জন্য জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আজকে প্রযুক্তির কারণে আমরা অনেক বই একসাথে রাখতে পারি। কিন্তু এই বই আমাকে পড়তে হবে।’

পিএসসি পরীক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা বাড়াইনি, কমিয়েছি। আগে প্রাইমারিতে দুইটা পরীক্ষা দিতে হত। একটা বৃত্তি পরীক্ষা, আর একটা ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার পরীক্ষা। আমরা এই দুইটা পরীক্ষাকে একটা করেছি। যে বেশি নাম্বার পাবে সে বৃত্তি পাবে। এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতারী মমতাজ, অতিরিক্ত সচিব ও সেকায়েপের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহামুদ-উল-হক। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্বববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ এম মাসুদুজ্জামান।

সানবিডি/ঢাকা/এসএস