বাম্পার ফলনেও লোকসানে আলু চাষিরা
প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৩-০৩-১৫ ১৯:১০:১২
আলুর বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্যমূল্য না পেয়ে লোকসানে রাজশাহীর চাষিরা। সামর্থ্যবান কৃষকরা হিমাগারে আলু রাখতে পারলেও অনেক কৃষক জমি থেকে তুলে লোকসানে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
গত বছর ফলন কিছুটা কম হলেও আলু চাষ করে বেশ লাভের মুখে দেখেছিলেন রাজশাহীরা চাষিরা। সেই আশায় চলতি মৌসুমেও রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী, পবা, মোহনপুর, বাগমারাসহ বিভিন্ন উপজেলায় আলু চাষ করেন তারা। এ বছর আবহাওয়া ও প্রকৃতি সহায় থাকায় জেলায় বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে দুই সপ্তাহ ধরে জেলার মাঠে মাঠে এখন আলু তোলায় ব্যস্ত কৃষক।
তবে তারা বলছেন, প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ ১৩ টাকা হলেও পাইকারিতে ১১ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ করে এক কৃষক বলেন, ‘আমাদের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। কারণ, আমরা আলুর ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না।’
এ অবস্থায় উৎপাদিত অর্ধেক আলু জেলার ৩৬টি হিমাগারে যাচ্ছে। এদিকে সুযোগ বুঝে হিমাগার মালিকরা ৬০ কেজি আলু এক মৌসুম রাখার জন্য ৩৬০ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন। এ পরিমাণ ভাড়া দিয়ে সামর্থ্যবান কৃষকরা হিমাগারে আলু রাখতে পারলেও বেকায়দায় পড়েছেন সাধারণ কৃষকরা।
তবে দুই মাস সংরক্ষণের পাশাপাশি রফতানিযোগ্য আলু চাষের পরামর্শ দিয়ে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা উম্মে ছালমা বলেন, ‘আমরা কৃষকদের রফতানিযোগ্য আলু চাষে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তাই আশা করছি কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।’
উল্লেখ্য, জেলায় ৩৬ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ৮ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। তবে জেলার ৩৬টি হিমাগারে সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা যায়।
এএ