১২.২ শতাংশ কমেছে শ্রীলংকার চা রফতানি
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক আপডেট: ২০২৩-০৩-২৭ ০৯:১০:১৬
চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারিতে চা রফতানির পরিমাণ কমেছে শ্রীলংকার। বছরওয়ারি দেশটির চা রফতানি ১ কোটি ৮৫ লাখ ৫ হাজার কেজি থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ ৭ হাজার কেজিতে। সিলন টি ব্রোকার গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রফতানি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এ তথ্য দিয়েছে। সূত্র ইকোনমি নেক্সট।
সরকারের পক্ষ থেকে রাসায়নিক ও আগাছানাশকের ওপর নিষেধাজ্ঞার সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশটির চা শিল্পে। আগাছানাশক রাসায়নিকের অপ্রতুলতার কারণে শ্রীলংকার চা উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমেই কমছে বলে মনে করছেন শিল্পটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চা রফতানি থেকে শ্রীলংকার আয় এসেছে ৩ হাজার ৭৮০ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২ হাজার ৩৪ কোটি ডলার বেশি।
বর্তমানে শ্রীলংকান চায়ের অন্যতম আমদানিকারক দেশ তুরস্ক। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ ৪৭ লাখ কেজি চা ক্রয়ের মাধ্যমে দেশটি সিলন চায়ের শীর্ষ ক্রেতা হয়ে উঠেছে। ইরাককে পাশ কাটিয়েই শ্রীলংকা থেকে চায়ের শীর্ষ আমদানিকারক দেশের তালিকায় নাম লিখেয়েছে তুরস্ক। দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে যাওয়া ইরাকের শ্রীলংকা থেকে আমদানীকৃত চায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ লাখ কেজিতে, যা গত বছর ছিল ৭৪ লাখ কেজি।
শ্রীলংকান চায়ের তৃতীয় আমদানিকারক দেশ রাশিয়া। ২০২২ সালে রাশিয়ায় চা রফতানির পরিমাণ ৪৯ লাখ কেজি হলেও চলতি বছর তা দাঁড়িয়েছে ৩৬ কেজিতে। চতুর্থ আমদানিকারক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্ষেত্রে পরিমাণটি ৩৪ লাখ কেজি, যা আগের বছরের ৩৯ কেজির তুলনায় কম।
আগাছানাশক জাতীয় সারের ওপর সরকারি মেডিকেল অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের নিষেধাজ্ঞার কারণে শ্রীলংকায় চায়ের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২২ সালে শ্রীলংকায় উৎপাদিত চায়ের পরিমাণ ছিল মাত্র ২৫ কোটি ১ লাখ কেজি।
এনজে