“এতদিন আমরা বলতাম, আমাদের সরকারের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে দারিদ্র্য দূরীকরণ। আমরা এই মূল কাজে বেশ সফল। আমরা যখন এই দেশকে শুরু করি, এরপর ৭৩-৭৪ এ আমাদের দারিদ্রতা ৭০ ভাগ ছিল। ৪০ বছরে আমাদের দারিদ্রতা কমে এখন ২০ দশমিক … এ এসে দাড়িয়েছে। গুড সাকসেস।”
দারিদ্রতা কমানো এখনও সরকারের উদ্দেশ্য- একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কারণ এখনও জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ দরিদ্র।”
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করেছিল শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উঠে এসেছে।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রসঙ্গ তুলে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দেন অর্থমন্ত্রী।
“এখন খুব সাবধান হওয়ার সময়। মিডল ইনকাম স্টাগনেন্সি। ওয়ান্স ইউ রিচড মিডল ইনকাম স্টাটাস, তখন ওই পোভার্টি এলিভিয়েশনের দিকে নজর কমে যায়।
“এর সবচেয়ে ভালো দৃষ্টান্ত মেক্সিকো। মেক্সিকো ইজ ভেরি রিচ কান্ট্রি। তাদের দারিদ্র্য ১৪ ভাগ। সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে সবচেয়ে লোয়েস্ট ডেভেলপড মালয়েশিয়ার ৭ ভাগ।”
কালো টাকা সাদার সুযোগ দাবি
বাজেট প্রস্তাবনায় ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, অদ্যাবধি অপ্রদর্শিত আয়ের উপর অতিরিক্ত ট্যাক্স আরোপের শর্ত সাপেক্ষে আবাসান শিল্পসহ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান করার প্রস্তাব করছি, যা বিদেশে অর্থ পাচারকে নিরুৎসাহিত করে দেশীয় শিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখবে।
এসময় ট্যাক্স কার্ডের আওতা বাড়িয়ে স্মার্ট ট্যাক্স কার্ড প্রদান, করদাতার আওতা বাড়ানো, ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো, ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ কমানো, ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর কমানো, করপোরেট কর কমানো, সিএসআরের অর্থ আয়কর মুক্ত করা, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং ইকো সিস্টেম প্রতিষ্ঠার পর ফিন্যান্সিশিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট প্রয়োগ, উৎসে কর কমানো, প্যাকেজ ভ্যাটের বর্ধিত হার প্রস্তাব করে তা ২০২১ সাল পর্যন্ত বহাল রাখা এবং ইসিআর বাস্তবায়নের পূর্বে সফটওয়ার আরও পরীক্ষার দাবি জানান তিনি।
সানবিডি/ঢাকা/মেহেদী/এসএস