সিদ্দিকী হত্যার আন্দোলন আমাদের অস্তিত্বের লড়াই

প্রকাশ: ২০১৬-০৫-১০ ১৯:৪৩:৪৬


RU pic (1)রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার ১৮তম দিনে এসেও বিচারের তেমন কোনো অগ্রগতি দেখছি না। এভাবে চলতে থাকলে একের পর এক শিক্ষক হত্যা হয়েই যাবে। অথচ আমরা কোনো বিচার পাবো না। তাই এ আন্দোলন আমাদের অস্তিত্বের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সকলে মিলে কঠোর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির আয়োজিত মানববন্ধনে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন এসব কথা বলেন।

মানববন্ধনে উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এসময় রাবি শিক্ষক সমিতির আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিদিন যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান উপাচার্য।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার পর আমরা আন্দোলন করে বিচার দাবি করে আসছি। এ দাবি শুধু শিক্ষক সমিতির নয়, এ দাবি ইংরেজি বিভাগের নয়, এ দাবি শুধু সিদ্দিকী পরিবারের নয়, এ দাবি রাবি পরিবারের দাবি। আমরা দেখতে চাই প্রকৃত অপরাধিদের ধরা হয়েছে, আমরা দেখতে চাই প্রকৃত অপরাধিদের শাস্তি হয়েছে। এ শাস্তি নিশ্চিত হলেই কেবল রাবি পরিবারের নিরাপত্বাহীনতা দূর হয়ে যাবে, এরা আতঙ্ক থেকে রক্ষা পাবে।

এসময় ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম মাসউদ আখতার বলেন, একজন সাধারণ মানুষ হত্যা হলে আইন তার নিজ গতিতে চলে এ হত্যার বিচার নিশ্চিত করার কথা। কিন্তু আমরা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হারিয়ে আইনের নিজ গতি দেখতে পাচ্ছি না। একাডেমিক কাজ ফেলে আমাদের সহকর্মী হারানোর বিচার দাবি করতে হচ্ছে। আমরা দ্রুত এর বিচার দেখতে চাই।

গত ২৩ এপ্রিল সকালে নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে ৫০ গজ দূরে রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার দিন বিকেলে নিহত শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেন।

সানবিডি/ঢাকা/হৃদয়/আহো