কর্মী নেয়ায় নিষেধাজ্ঞা তুলছে মালয়েশিয়া
আপডেট: ২০১৬-০৫-১২ ১৭:২৪:৪২
ঢাকা: শিল্পোদ্যোক্তাদের আবেদনে বিদেশি শ্রমিক নেয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মালয়েশীয় সরকার। কর্মী সঙ্কটে থাকা ম্যানুফ্যাকচারিং, নির্মাণ, প্ল্যান্টেশন ও আসবাবপত্র খাতে জনশক্তি আমদানির অনুমতি দেয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
দেশটির পরিবহন মন্ত্রী লিও টিয়ংলাই বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কুয়ালালামপুর ভিত্তিক ইংরেজি নিউজ পোর্টাল স্টার অনলাইন।
গত ২৯ এপ্রিল মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদিও ‘শিগগিরই’ বিদেশি শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক ঘোষণার ইংগিত দিয়েছিলেন।
পরিবহন মন্ত্রী লিও টিয়ংলাই জানান, বিভিন্ন শিল্পে জনবলের তীব্র সংকটের কথা বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ চলছে, এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। তবে একবারে সব খাতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠছে না জানিয়ে পরিবহন মন্ত্রী জানান, অনান্য খাতে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ওপর থেকে পর্যায়ক্রমে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছে বাংলাদেশের প্রায় ছয় লাখ কর্মী। ওই বিবেচনায় মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ বাজারও।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় দুই দেশের সরকারের মধ্যে জনশক্তি নেয়া নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে সই করেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ত জায়েম এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। সমঝোতা স্মারকে সইয়ের পরদিন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি বিদেশি শ্রমিক নেয়া স্থগিতের ঘোষণা দেন।
সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার দুই মন্ত্রী মৌখিকভাবে বছরে তিন লাখ করে মোট ৫ বছরে ১৫ লাখ শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ কর্মকর্তারা সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
এদিকে বিদেশি কর্মী আনার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির আসবাবপত্র খাতের এ্যরিক লি। এ সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
সানবিডি/ঢাকা/মেহেদী/এসএস