শনিবার রাতে ওই শিক্ষিকা (২৫) বাদী হয়ে তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তিনি এখন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মেহেরপুরের মুজিবনগরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, গত শুক্রবার (১৩ মে) কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে তার শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ছিল। কুষ্টিয়া আসার সময় তিনি তার বিদ্যালয়েরই প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামের সঙ্গে এসেছিলেন। তারা কুষ্টিয়া শহরের একটি হোটেলে দুইটি কক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে ছিলেন।
শুক্রবার সকালে পরীক্ষার হলে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে শরিফুল ইসলাম তার কক্ষে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
মামলায় বলা হয়, ওই সময় তার ব্যাপক রক্তক্ষরণ শুরু হলে শরিফুল পালিয়ে যান। পরে ওই শিক্ষিকা নিজ এলাকার পূর্ব পরিচিত এক বড় ভাইকে ফোনে ডেকে তার সাহায্যে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।
সঙ্গে কেউ না থাকায় তাৎক্ষণিক ডাক্তারি পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যান। কিন্তু বাড়ি যাওয়ার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার তরুণ কান্তি ঘোষ জানান, শুক্রবার রক্তাক্ত জখম নিয়ে শিক্ষিকা প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন। তারপর প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
“প্রাথমিকভাবে বলা যায় তিনি যৌন আঘাতের শিকার হয়ে থাকতে পারেন। তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।”
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শাহাবুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, শনিবার মধ্যরাতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামি মেহেরপুরের ভবরপাড়া গ্রামের রহমান মোল্লার ছেলে শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস