তনুকে নিয়ে দেওয়া এসপির তথ্য নিয়ে কুমিল্লায় তোলপাড়
প্রকাশ: ২০১৬-০৫-১৭ ২১:৩৪:৩১
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী ও নাট্য কর্মী সোহাগী জাহান তনুর অন্তর্বাস, পোষাক ও গোপনাঙ্গ থেকে নেয়া ডিএনএ প্রতিবেদনে ‘৩ জনের বীর্য’ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার রাতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান এ তথ্য প্রকাশ করলে কুমিল্লায় তোলপাড় শুরু হয়।
দেশের সকল গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করে এ খবরটি। কিন্তু তনুর মরদেহ উদ্ধারের পরদিন গত ২১ মার্চ কুমেকের ফরেনসিক বিভাগে করা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় গত ৪ এপ্রিল। তাতে তনুকে ধর্ষণ ও হত্যার আলামত ছিল না। তাই প্রথম ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ প্রতিবেদনের ব্যবধান থাকায় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে।
তনুর বাবা ইয়ার হোসেন মঙ্গলবার সকালে সিআইডির ডিএনএ প্রতিবেদনের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে কুমেকের ফরেনসিক বিভাগের দেয়া প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিকে তনুর ডিএনএ প্রতিবেদনে ৩ ধর্ষকের আলামত খুঁজে পেলেও এরই মধ্যে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ঘাতকদের সনাক্ত করতে সিআইডি কাজ করছে বলে জানা গেছে। ঘাতক সনাক্ত হলেই গ্রেফতারে সিআইডি অভিযান চালাবে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, গত ২০ মার্চ সোহাগী জাহান তনুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে কুমিল্লা সেনানিবাসের পাওয়ার হাউজ এলাকার পাশের একটি জঙ্গলে লাশ ফেলে দেয় ঘাতকরা। গত ৩০ মার্চ তনুর লাশের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ৪ এপ্রিল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে দেয়া প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা এবং ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
সানবিডি/ঢাকা/আহো