জবিতে বঙ্গবন্ধু বিরোধী পোস্টার, আটক ২

আপডেট: ২০১৬-০৫-১৯ ১৫:১৭:১২


JNUজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি)  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিরোধী লিফলেট বিতরণ কালে গনমুক্তির গানের দলের দুই কর্মীকে  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতা কর্মীদের প্রচেষ্টায় আটক করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে লিফলেট বিতরণ কালে তাদেরকে আটক করা হয়।

২২শে মে চারু মজুমদার লাইনের অন্যতম প্রধান পতাকা বহনকারী উত্তরবঙ্গের সশস্ত্র কৃষক আন্দোলনের প্রধান সংগঠক পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (এম এল) সম্পাদক কমরেড মনিরুজ্জামান তারার হত্যাকারী হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিরোধী লিফলেট বিতরণ কালে তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের লিফলেটে লেখা ছিল যে , ১৯৭৫ সালে সাম্রাজ্যবাদের দালাল স্বৈরাচারী শখ মুজিবুর রহমান (এই লোক সেদিন পূর্ব বাংলার মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা, বেইমানী করেছিল, সত্তরের দশকে যে শ্রেণী সংগ্রামের শুরু করেছিল বাংলার কৃষক শ্রমিক জনতা তাকে মুজিব বাহিনী ,ভারত রাষ্ট্রীয় বাহিনী এমনকি ভারত থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুক্তি বাহিনী দিয়ে নির্মমভাবে দমন করেছিল, মুক্তি বাহিনী পাক বাহিনী নয় মূলত হত্যা করেছিল কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের এবং ৭১’ পরবর্তি সময়েও উনি রক্ষি বাহিনী ও শিশু বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে এই হত্যা কান্ডে ব্যবহার করেছিল সাম্রাজ্যবাদের মদদে) কমরেড তারাকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মম অত্যাচার করে ও নথিভুক্ত না করে আটকে রেখেছিল এবং তাকে আদর্শচ্যুত ও আতঙ্কি করতে না পেওে ২২শে মে হত্যা করে তার মায়ের কবরের পাশে ফেলে রেখে যায়। উল্লেখ্য যে ,শেখ মুজিবুর ৭২ থেকে ৭৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ত্রিশ হাজার কমিউনিস্টকে হত্যা করেছিল।

আটককৃতরা হলেন , জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউনটিং বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আবুল বারাকাত আকিব, পিতা-আবুল হাসনাত, মাতা- মাহমুদা বেগম, এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০০৬ সালের শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফারহানা হক,পিতা -মোজাম্মেল হক , মাতা- ফজিলা আহমেদ (নেত্রকোনা)।

উল্লেখ্য যে, তাদেরকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতা কর্মীদের প্রচেষ্টায় আটক করে পুলিশের কাছে সোপার্দ করা হয়।