বিসিবির সঙ্গে দর কষাকষি হিথ স্ট্রিকের
প্রকাশ: ২০১৬-০৫-২৩ ১৯:৩১:২৪
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে এখনও চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়নি। আগামী জুনেই শেষ হবে হিথ স্ট্রিকের সঙ্গে ২ বছরের চুক্তির মেয়াদ। অথচ, তার আগেই ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার জন্য আবেদন করে বসে আসেন জিম্বাবুয়ের সাবেক এই অধিনায়ক। ব্যাপারটা কতটা ঠিক হলো? এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। আবার শোনা যাচ্ছে, হিথ স্ট্রিকের এই ডিগাবাজি সিদ্ধান্তের কারণে, বিসিবি বিকল্প খুঁজতে শুরু করে দিয়েছে।
মেয়াদ থাকাকালীন একজন কোচ কীভাবে অন্য একটি দেশের বোর্ডে চাকরির আবেদন করেন? তা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে আকরাম খান মিডিয়াকে বলেন, ‘হিথ স্ট্রিক তো এ ব্যাপারে বিসিবিকে কিছুই জানাননি। আমরা তাকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পরও কেন এমন আচরণ করল?’
মেয়াদ শেষ হলেও জিম্বাবুয়ের সাবেক এই অধিনায়কের সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়ে নেয়ার কথা বলছিল বিসিবি। সে মতে বিসিবির প্রস্তাবে রাজিও হয়েছিলেন তিনি। মূলতঃ ২০১৯-এর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ পর্যন্ত হিথ স্ট্রিককে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বোলিং কোচ হিসেবে রাখার ইচ্ছা থেকেই বিসিবির চুক্তি বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ। তবে এই সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোন অ্যাসাইনমেন্ট না থাকায়, হিথ স্ট্রিক গেলেন আইপিএলে গুজরাট লায়ন্সের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে।
বিসিবির আগ্রহের কথা জানা এবং নিজে মৌখিকভাবে রাজি হওয়ার পরও হিথ স্ট্রিক কেন বিসিসিআই’র কাছে নতুন চাকরির জন্য আবেদন করবেন? এই প্রশ্ন আকরামের। তবে হিথ স্ট্রিক দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও তার বিরূপ প্রভাব দলেল ওপর পড়বে না বলে মনে করেন বিসিবি’র ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন সিরাজ।
তিনি বলেন, ‘এর আগে তো শ্রীলঙ্কার চম্পক রামানায়েকে বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আমলেই তো আমরা রুবেলকে পেয়েছি। ও এখান থেকে প্রোফাইল বাড়িয়ে নিয়েছে বলে ভারতে চাকরির প্রস্তাব করছে। হিথ স্ট্রিক চলে গেলে আমাদের কিছু আসে যায় না। আমরা তার চেয়েও ভাল বোলিং কোচ পাব।’
তবে হিথ স্ট্রিকের দরজা এখনও খোলা রেখেছে বিসিবি। এই অবস্থানের কথা জানিয়েছেন বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘এখনও তিনি আমাদের বোলিং কোচ। পরবর্তী মেয়াদে চুক্তির ব্যাপারে হিথ স্ট্রিকের এজেন্ট আমাদের সাথে কথা বলেছেন।’
পরবর্তী মেয়াদে বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালনে আগ্রহী থাকলে তার বেতন-ভাতা এবং সুযোগ সুবিধা বাড়াতেও আপত্তি নেই বিসিবি’র। তবে তার আগে হিথ স্ট্রিকের নিজের মুখ থেকেই দাবি-দাওয়াগুলো শুনতে চান বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী। তিনি বলেন, ‘আগে তার চাহিদা শুনি, তারপরও দেখি।’ তাহলে তো দু’বোর্ডের সঙ্গে দর কষা-কষি করছেন হিথ স্ট্রিক। বিসিসিআই চাইলে হিথ স্ট্রিককে রাখা যে সম্ভব হয়ে উঠবে না, তা অবশ্য ধরেই নিয়েছে বিসিবি। সে কারণে বিকল্পও খোঁজা শুরু করেছে তারা।
সানবিডি/ঢাকা/আহো