ইসলামী ফ্যাশন ‘স্ববিরোধী’
প্রকাশ: ২০১৬-০৫-২৪ ১৬:৫০:৫১
বিশ্বব্যাপী শুধু মুসলিম নারীদের জন্য পোশাক প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ডগুলো বেশ জমজমাট ব্যবসা করছে। ফ্যাশনের দেশ ফ্রান্সেও গড়ে উঠছে এমন ব্রান্ড, যারা ইসলাম ধর্ম অনুমোদন করে এমন পোশাক বাজারে ছাড়ছে। এগুলোর আবার একই সঙ্গে ফ্যশনেবলও। ধর্ম এবং ফ্যাশন- এ দুটি বিষয়কে মেলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এই ‘ইসলাম সম্মত’ ফ্যাশনেবল পোশাক নিয়ে ফ্রান্সে বিতর্ক আছে। দেশটিতে বর্তমানে ৬০ লাখ মুসলমান। কিন্তু সেখানে নিকাবের ওপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া স্কুল এবং অফিসে হিজাবের বিষয়ে কড়াকড়ি আছে। নারীবাদী সংগঠন ডেয়ার টু বি ফেমিনিস্ট’র মারি অ্যালবার্ট ইসলামী ফ্যাশনের ঘোরতর বিরোধী। তিনি বলেন, ‘ইসলামী ফ্যাশনের ধারণা স্ববিরোধী ও গোলমেলে। কারণ ইসলাম একটি ধর্ম।
আমার কাছে ধর্ম হচ্ছে একটি সংস্থা, যেটি পুরুষরাই সংগঠিত করে ও নেতৃত্ব দেয়।’ মারি অ্যালবার্টের মতে, পুরুষরা শালীনতার একটি ধারণা তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ‘নারীর আচরণ কেমন হবে, সেটি তারা চাপিয়ে দেয়।’ শালীনতার নামে নারীকে ‘পরাধীন’ করার চেষ্টা বিতর্কের একটি দিক। অনেকে মনে করছেন, ফ্রান্সে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে অন্য ধর্মের ওপর জীবনাচরণ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
মুসলিম ফ্যাশন ব্রান্ড ‘বারকা ফ্যাশন’র উদ্যোক্তা লামিয়া মিসদাউই মনে করেন, প্রত্যেকেরই নিজস্ব পছন্দ থাকা উচিত। তিনি বলেন, ‘ওরা চায় সবাই একই রকম হবে। তাদের যেসব রীতি আছে, সেগুলোর সঙ্গে যদি মানিয়ে না চলেন তাহলে তারা আপনাকে একঘরে করে দেবে।’ লামিয়া মিসদাউই বলেন, হিজাবী ফ্যাশন এমন ধারণার বিপক্ষে লড়াই করে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
সানবিডি/ঢাকা/এসএস