ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ লালবাগ বিভাগের সিসি ক্যামেরা ভিত্তিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের উদ্বোধন 

প্রকাশ: ২০১৬-০৫-৩১ ২০:১৩:৫২


DMP-1ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ, লালবাগ বিভাগের উদ্যোগে ‘লালবাগ বিভাগের সিসি ক্যামেরা ভিত্তিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশ-এর মহাপরিদর্শক জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক বলেন, সিসি ক্যামেরা একটি নিরাপত্তার প্রতীক। এর মাধ্যমে অপরাধকারীদের সনাক্ত করা সম্ভব। পুলিশ জনগণের বন্ধু। তাই জনগণকে সাথে নিয়ে পুলিশ সকল সমস্যার সমাধানে আগ্রহী। এতে করে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে যে দুরুত্ব তা কমে গিয়ে আস্থা বাড়বে, পাশাপাশি পুলিশেরও যদি কোন ভুলভ্রান্তি পরিলক্ষিত তা ধরিয়ে দিতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে যারা বিকৃত করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। সেইসাথে জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বাষট্টি জন জঙ্গিকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি এবং এরমধ্যে ছয় জন জঙ্গির ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে রোল মডেল।এসময় তিনি রাতের বেলায় যাতে অপরাধীরা কোন অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে সেজন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য ডিএমপি কমিশনারকে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ-এর কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সুযোগ্য কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ‘ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষে ইতোমধ্যে আমরা লালবাগ এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার সিসি ক্যামেরা বসাতে সক্ষম হয়েছি। যার মাধ্যমে কোন অপরাধী অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে জনগণ ইতোমধ্যে তার সুফল পেতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বিশ্বায়নের এই যুগে আমরা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা সকল সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হব।”

সভাপতির বক্তব্যে জবি ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের দেশে পুলিশের সংখ্যা কম। সিসি ক্যামেরা সহযোগিতায় পুলিশের এই স্বল্পতা সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হবে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে অপরাধীরা সহজে অপরাধ করার সুযোগ পাবে না, তাদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার হবে। এসময় তিনি সদরঘাটসহ পুরানো ঢাকার সমস্ত এলাকায় সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মফিজ উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন লালবাগ বিভাগের এডিসি আবিদা সুলতানা। এছাড়াও বাংলাদেশ পাইপ এন্ড টিউবওয়েল মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এস. এম. আকাশ, ঢাকা মহানগর পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দোলন কান্তি বড়ুয়া, ইসলামপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার ঢালী, কোতয়ালী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব ফজলুর রহমান পর্বত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এম সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।

এসময় ইসলামপুর বস্ত্র সমিতির পক্ষ থেকে কোতয়ালী থানার জন্য একটি পিক-আপ ভ্যান-এর চাবি প্রধান অতিথির নিকট হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন লালবাগ বিভাগের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃদ ও সুধীজন। অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন,বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ,বিভিন্ন থানার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সানবিডি/ঢাকা/ইসমাইল/আহো