রোজায় ওমরাহ হজ করবেন ৯ লাখের বেশি মানুষ
প্রকাশ: ২০১৬-০৬-১১ ১৩:১৮:৩৫
চলতি মৌসুমে ওমরাহ হজ পালনে আগ্রহীদের জন্য এখন পর্যন্ত ৬২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি ভিসার অনুমোদন দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। এদের মধ্যে চলতি রমজান মাসেই ৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদিতে যাবেন আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ শনিবার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি মৌসুমের শুরু থেকে এখন গত ৯ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ৫৪ লাখ ৭০ হাজার মানুষ ওমরাহ হজ পালনের জন্য সৌদিতে গেছেন। এই মাসেই ওমরাহ হজ পালনকারীর সংখ্যা ৬০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এতে আরও জানানো হয়েছে, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ওমরাহ পালনকারী এবং অনুমোদন পাওয়া ব্যক্তির সংখ্যার দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে মিশর। এই দেশটির ১২ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ এবার ওমরাহ হজ পালনের জন্য ভিসার অনুমোদন পেয়েছেন। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তানের ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৫৫০ জনের জন্য ভিসার অনুমোদন দিয়েছে সৌদি সরকার। ৪ লাখ ৭০ হাজার ৯৪৪ জনের ভিসার অনুমোদন পাওয়া তুরস্ক এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর চতুর্থ স্থানে থাকা জর্ডানের মানুষদের জন্য ৪ লাখ ২৬ হাকার ৩২৬টি ওমরাহ হজ ভিসার অনুমোদন দিয়েছে সৌদি।
ওমরাহ কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক খালিদ আল-শামসান বলেন, কয়েকটি দেশে অর্থনৈতিক মন্দার করাণে এরারের ওমরাহ ভিসার জন্য আবেদন এবং ভিসা অনুমোদনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। আগে ওমরাহ হজ পালনের পর যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সৌদি আরব ছেড়ে গেছে, এবার ভিসা অনুমোদনের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দিয়েছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
ওয়ালিদ আবু সাবা নামে ওমরাহ খাতের এক বিনিয়োগকারী জানান, চলতি বছরের শেষ দিকে ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা বাড়তে পারে। তবে তা অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা কিছুটা কম হবে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত প্রতি হিজরি সনের শাবান মাসে বেশি পরিমাণে ওমরাহ হজের আবেদন জমা পড়ে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৫ রমজানের মধ্যে ওমরাহ হজের ভিসা অনুমোদন কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে আবেদনকারীর সংখ্যা অনেক কমেছে।
গ্র্যান্ড মসজিদেরে নিরাপত্তা পরিচালক হামোর আল-আয়েদাহ বলেন, রমজান মাসে ৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ হজ পালনের জন্য মক্কা-মদিনায় আসতে পারে। সেই লক্ষ্যে ওমরাহ হজ পালনকারীদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের বসার জন্য স্থান বরাদ্দ, অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতার জন্য বিশেষ টিম এবং জরুরি নির্গমন ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এছাড়া ওমরাহ হজ পালনকারীদের মালামাল রাখার জন্যও গ্র্যান্ড মসজিদে পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে।