সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দিল ভারতের মহাকাশযান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৩-০৯-০২ ১৪:৩২:০২
চাঁদ জয়ের ১০ দিনের মধ্যে আরও একটি মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হলো ভারত। সূর্যের দিকে পাড়ি দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মহাকাশযান আদিত্য-এল ১।
ভারতের রকেট ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল’ (পিএসএলভি)-এর কাঁধে ভর করে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা সতীশ ধাওয়ন স্পেস রিসার্চ সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে সূর্যের উদ্দেশে রওনা দেয় মহাকাশযানটি।
ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে আদিত্য-এল ১ এর উৎক্ষেপণের মুহূর্ত দেখানো হয়। গত ২৩ অগস্ট চাঁদের বুকে পা দিয়েছিল ইসরোর তৃতীয় চন্দ্রযান। রোভার প্রজ্ঞানকে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্টে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। আর তার ১০ দিনের মধ্যেই এ বার সূর্যের দিকে সফল ভাবে উড়ে গেল ইসরোর সৌরযান আদিত্য-এল ১।
আদিত্য-এল ১ ভারত থেকে সূর্যের দিকে পাঠানো প্রথম মহাকাশযান। সূর্যের অপর নাম আদিত্য। তাই এই নামকরণ করা হয়েছে মহাকাশযানটির।
ইসরো জানায়, মহাকাশযানটিকে সূর্য-পৃথিবীর মধ্যে একটি ‘হ্যালো’ কক্ষপথের ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট বা এল ১ পয়েন্টে স্থাপন করা হবে। প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ কিলোমিটার ভ্রমণ করে গন্তব্যে পৌঁছবে মহাকাশযানটি। সময় লাগবে প্রায় ১২০ দিন। সূর্যের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে আদিত্য-এল ১-কে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।
ইসরো সূত্রে খবর, উৎক্ষেপণের পর প্রায় ১৬ দিন পৃথিবীর চারিদিকে পাক খাবে আদিত্য-এল ১। এই ১৬ দিনে সূর্যের দিকে পাড়ি দেওয়ার জন্য পাঁচটি ধাপে গতিবেগ বাড়াবে আদিত্য। এর পর ১১০ দিন সূর্যের অভিমুখে যাত্রা করে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে নক্ষত্রটিকে পর্যবেক্ষণ করবে সেটি। এই ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে সূর্য এবং পৃথিবীর আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ বল একসঙ্গে ক্রিয়াশীল। ফলে এই অঞ্চলে পৌঁছে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থির থাকতে পারে। মহাকাশের পরিবেশ, আবহাওয়া, তার ওপর সূর্যের কী প্রভাব পড়ে, সে সব জানার চেষ্টা করবে আদিত্য-এল ১।
আদিত্য-এল১ অভিযানের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৩৭৮.৫৩ কোটি টাকা। এই অভিযান সফল হলে সৌরঝড়ের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হবে ইসরো। পাশাপাশি সূর্যের আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবও বুঝতে সাহায্য করবে এই মহাকাশযান। এই অভিযানের মাধ্যমে সূর্য সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্য ভারতের হাতে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
এনজে