জেনিথ লাইফের বীমার আওতায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা

সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০৯-০৩ ১৫:৪০:০৬


শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা সুবিধার আওতায় আনল ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। বেসরকারি বীমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামী লাইফের সাথে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বীমার আওতায় প্রতি শিক্ষার্থীকে বছরে ৫০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা এবং মৃত্যুতে ২ লাখ টাকার জীবন বীমা সুবিধা প্রদান করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শহীদ আখতার হোসেন এবং জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-জেনিথ ইসলামী লাইফের গ্রুপ এন্ড হেলথ ইন্স্যুরেন্স বিভাগের প্রধান মো. আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান, ট্রেজারার, ডাইরেক্টর একাউন্টস এন্ড ফাইন্যান্স এস এম ফিরোজ আহমেদ, ডেপুটি ডাইরেক্টর ফাইন্যান্স আব্দুল করিম, হেড অব এইচআর জি এম নাফিউন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, ফ্যাকাল্টি ও বিভাগীয় প্রধানসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

বীমা কোম্পানিটি জানিয়েছে, স্বাস্থ্য বীমার আওতায় থাকা কোন শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে অথবা দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলে প্রতি চুক্তি বর্ষে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাসপাতাল চিকিৎসা বীমা সুবিধা পাবেন।

এছাড়াও জেনিথ ইসলামী লাইফের জীবন বীমার আওতায় থাকা ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির কোন শিক্ষার্থী মারা গেলে তার অভিভাবক পাবেন ২ লাখ টাকা। তাছাড়া সারা দেশে বিস্তৃত কোম্পানির নেটওয়ার্ক হসপিটালে সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য বীমা কার্ড প্রদান করবে জেনিথ ইসলামী লাইফ।

বীমা দাবি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সিস্টেমে সম্পন্ন করতে পারবে। ফলে বীমা সুবিধা পেতে জটিলতা কমবে শিক্ষার্থীদের। সেমিস্টার ফি’র সাথে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেমিস্টার ভিত্তিক প্রিমিয়াম জমা নেয়ার পরিকল্পনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্বববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর জানান বিগত ৫ বছর যাবৎ জেনিথ লাইফের সাথে আমাদের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা চুক্তি রয়েছে। তাদের সেবা খুবই সন্তোষজনক। আজ আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে স্বাস্থ্য ও জীবন আওতায় নিয়ে এসেছি। আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীরা বেশ উপকৃত হবে।

এম জি