চাঁদপুরে স্বামী-স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার
প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৩-০৯-০৮ ১৮:১৮:০৬
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে স্বামী ও স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান চাঁদপুরের পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নিহতরা হলেন- উত্তম (৬২) ও কাজলী (৫২)।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, চুরির উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা বাসার পেছনের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে। তবে অন্য আরো কোনো কারণ আছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা স্টিলের আলমারি ভেঙে এবং আশপাশের আরো কিছু মালামাল নিয়ে গেছে। এরই মধ্যে থানা ও জেলা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডি এবং ডিবি পুলিশসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ খুঁজতে কাজ শুরু করেছে।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, দুর্বৃত্তরা বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং দুজনের হাত ও পা বেঁধে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, কী কারণে এমন জোড়া খুন তা নিশ্চিত হতে এবং খুনিদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।
হাজীগঞ্জের বড়কূল গ্রামের কালা সীতার বাড়ি। এই বাড়িতে সকালে পূজার ফুল নিতে উত্তম বর্মন ও কাজলী বর্মনের বাসার সামনে যান প্রতিবেশী সবিতা সাহা।
এ সময় তাদের বাসার দরজা বন্ধ দেখে ঘুম থেকে ডেকে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পাশের জানালা দিয়ে উঁকি দেন তিনি। এ সময় পেছনের আরেকটি জানালার গ্রিল ভাঙা দেখেন। এক পর্যায়ে শয়নকক্ষের মেঝেতে দুজনের বিবস্ত্র মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন সবিতা সাহা। এমন দৃশ্য দেখে ডাক-চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে জানান তিনি। পরে পুলিশকে জানানো হয়।
বাবা-মা খুনের খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে ছুটে আসেন মেয়ে বিনা ও রিনা। এ সময় বাবা ও মায়ের মরদেহ দেখে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নিহতের মেয়েসহ এলাকাবাসী জানায়, দরিদ্র এই পরিবারের কোনো শত্রু থাকার কথা নয়। তাহলে কেন হত্যা করা হলো তাদের? খুনিদের খুঁজে বের করার দাবি জানান তারা।
অন্যদিকে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মেয়ে রিনা বর্মন। আর এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপপরিদর্শক আব্দুর রউফকে।
এএ