সমুদ্রের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এগিয়ে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-০৯-২৪ ০৯:৪৯:২৭
আজ বিশ্ব মেরিটাইম দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে বলেছেন, দিবসটি আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, আমরা সামুদ্রিক ক্ষেত্রটির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি ‘এমএআরপিওএল অ্যাট ৫০-আওয়ার কমিটমেন্ট গো অন’– এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত দিবসটির সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
এমএআরপিওএল মানে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রিভেনশন অব পোল্যুশন ফ্রম শিপ, যা ১৯৭৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) দ্বারা গৃহীত ও ১৯৭৮ সালে কার্যকর হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে প্রতিপাদ্যের সঙ্গে দিবসটি উদযাপনের জন্য জাহাজ শিল্প সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়, কর্তৃপক্ষ ও সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বার্তায় বিশ্বের অন্যান্য আইএমও সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ ২৪ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব মেরিটাইম দিবস ২০২৩’ উদযাপন করছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমুদ্রের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পূর্ববর্তী এই আইনের একটি আধুনিক সংস্করণ হিসেবে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস (সংশোধিত) আইন ২০২১’ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং আইন ও বিধি প্রণয়ন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, এ বছরের ‘মারপোল অ্যাট ৫০-আওয়ার কমিটমেন্ট গো অন’ এই প্রতিপাদ্যটি টেকসই উন্নয়নের জন্য সামুদ্রিক দূষণ থেকে সমুদ্রকে রক্ষা ও সংরক্ষণে রাষ্ট্রগুলোর অভিন্ন দায়িত্বে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত।
তিনি বলেন, অর্ধশতাব্দী ধরে জাহাজ থেকে দূষণ প্রতিরোধের জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন (এমএআরপিওএল) একটি পরিচ্ছন্ন, দূষণমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর সামুদ্রিক পরিবেশের জন্য আশার আলোকবর্তিকা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এমএআরপিওএলের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করার সময় জাহাজ থেকে দূষণ হ্রাস এবং বিশ্বব্যাপী টেকসই শিপিং অনুশীলনের প্রচারে অগ্রগতি স্বীকার করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিস্তৃত উপকূলরেখা ও সমৃদ্ধ সামুদ্রিক ইতিহাসে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমাদের পরিবেশের উপর সামুদ্রিক কার্যকলাপের গভীর প্রভাব বুঝতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জাহাজ থেকে দূষণ রোধ করতে এবং আমাদের সমুদ্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব বাড়াতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এমএআরপিওএল-এর নীতিসমূহ সমুন্নত রাখার মাধ্যমে আমরা কেবল আমাদের জাতির মঙ্গলই নয়, বরং পরিবেশ সংরক্ষণের বৈশ্বিক অঙ্গনেও অবদান রাখি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিশ্ব মেরিটাইম দিবসে, আসুন আমরা নিজেদেরকে এমএআরপিওএল-এর আদর্শের সাথে পুনরায় অঙ্গীকার করি। আমাদের প্রতিশ্রুতি যেন স্থায়ী হয় এবং আমাদের সমুদ্রগুলো যেন আগামী প্রজন্মের জন্য জীবন, অনুপ্রেরণা এবং সমৃদ্ধির উৎস হয়ে থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা একসাথে কাজ করি।
সূত্র: বাসস