গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা, পিটার হাসের বক্তব্য নিয়ে যা বলছে দূতাবাস
সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৩-০৯-২৫ ১৯:০০:৩৭
গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের ওপরেই ভিসা নিষেধাজ্ঞার খড়গ আসতে পারে, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের এই বক্তব্যকে আরো স্পষ্ট করেছে মার্কিন দূতাবাস। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস নিজস্ব ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রদূত হাসকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘আমরা (ভিসা নিষেধাজ্ঞা) নীতিটি সরকারপন্থী, বিরোধী দল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্য এমনকি গণমাধ্যমের সদস্য নির্বিশেষে যে কারো বিরুদ্ধে ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে প্রয়োগ করছি যারা দেশটির গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করায় জড়িত।’
এর আগে, গতকাল রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের টকশো মুক্তবাকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ভিসানীতির আওতায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও আসতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেন। পিটার হাস বলেন, নেতিবাচক ভূমিকা ও আচরণের কারণে বাংলাদেশের যে কেউ মার্কিন ভিসানীতির শিকার হতে পারে। অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা কেমন তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে। এটি কোনো স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয়। তিনি বলেন, কতজনকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো তা মুখ্য বিষয় নয়। আমরা এর মধ্যে দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়ে যাচ্ছি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিতে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতি আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার রোববার রাতে এ বিষয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করেছেন এমন যে কারো ওপর মার্কিন ভিসানীতির আওতায় ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করা যাবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার উদাহরণ হিসেবে তিনি ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত ও সংগঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ বা গণমাধ্যমকে মত প্রকাশ বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
এএ