পদ্মা রেলসেতুর উদ্বোধন আজ
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক আপডেট: ২০২৩-১০-১০ ১০:৩২:২২
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আরেকবার দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হতে চলছে আজ। দিনক্ষণ ঠিক না হলেও নভেম্বর থেকে এই রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন রেলপথ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরই মধ্যে ৮২ কিলোমিটার রেলপথসহ মাওয়া স্টেশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত করেছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া রেলস্টেশনে ফলক উন্মোচনের পর সুধীসমাবেশ হবে। তাই মাওয়া স্টেশনে সুধী সমাবেশ ঘিরে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয়।
গতকাল সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, মাওয়া স্টেশনজুড়ে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পুরো এলাকাজুড়ে সাজসাজ রব, একই সঙ্গে ব্যাপক নিরাপত্তাকর্মীর উপস্থিতি। প্রধানমন্ত্রীকে বহনের জন্য প্রস্তুত করা বিশেষ ট্রেনের মহড়া চলছে। ১৪ বগির বিশেষ ট্রেন মাওয়া স্টেশনে প্রস্তুত। মঞ্চসহ সমাবেশস্থল তৈরি, সৌন্দর্য বন্ধনসহ আনুষঙ্গিক কর্মযজ্ঞ শেষ পর্যায়ে। বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুনে সজ্জিত এলাকা। খানিক পরপর আকাশে মহড়া দিচ্ছে র্যাবের টহল হেলিকপ্টার।
মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশন প্রাঙ্গণে বেলা ১১টার দিকে সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দেশি-বিদেশি অতিথিরা অংশ নেবেন। পরে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করে টিকিট কেটে দুপুর ১২টায় মাওয়া স্টেশন থেকে ট্রেনে যাত্রা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৩৮৬ অতিথি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেনযাত্রার সুযোগ পাবেন। দুপুর ১টায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশনে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে ভাঙ্গার কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দিবেন তিনি।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ৮২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী ট্রেন ভ্রমণ করবেন প্রায় ৪০ কিলোমিটার। ৮২ কিলোমিটার রেলপথসহ মাওয়া স্টেশন প্রস্তুত। নিমতলা, শ্রীনগর, শিবচর, ভাঙাসহ বাকি স্টেশনগুলোর কাজও ৯৫ ভাগ শেষ।
পদ্মা রেল প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩৯ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এম জি