জাবি ছাত্রীকে হয়রানির জেরে বাস আটকে চাঁদাবাজির অভিযোগ
জাবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৩-১০-১৫ ১২:৩৯:১৩
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্রীকে বাসে হয়রানির অভিযোগে লাব্বাইক পরিবহনের সাতটি বাস আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগী ছাত্রী চারুকলা বিভাগের ৪৯ তম ব্যাচে অধ্যয়নরত।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের একদল শিক্ষার্থী বাসগুলো আটকাতে শুরু করেন। পরে সন্ধ্যা ৬টার বাসগুলো থেকে বিভিন্ন পরিমাণে টাকা নিয়ে তারা ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাস আটককারী কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ওই ছাত্রী লাব্বাইক বাসে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় চালকের সহকারীর (হেলপার) সঙ্গে হাফ ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় ওই ছাত্রীর। একপর্যায়ে বাসের ওই সহকারী ওই ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এই ঘটনার জেরে আজ দুপুরে তাঁরা লাব্বাইক বাসগুলো আটক করেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী মুঠোফোন বলেন, ‘গতকাল বিকেলে আমি ও আমার বান্ধবী বাসে করে ঢাকায় যাচ্ছিলাম। ভাড়া নিয়ে বাসের সহকারী খুবই খারাপ আচরণ করেন। তিনি পারলে আমাদের মেরে বসেন, এমন আচরণ করতে থাকেন। পরে আজ আমরা তাঁদেরকে বলেছি জাস্ট সরি বলতে। কিন্তু তাঁরা কেউ সরি বলেননি।’
শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে লাব্বাইক পরিবহনের বাসগুলো রেখে চাবি নিয়ে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে চারুকলা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দেখা যায়।
লাব্বাইক বাসের চালক বিমল চন্দ্র বলেন, প্রতিটি বাস থেকে সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা নিয়েছেন। এর বাইরেও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। যাঁর কাছ থেকে যত পেরেছেন, টাকা নিয়েছেন।
আরেকটি বাসের সহকারী মো. শাওন বলেন, সারা দিন বাস আটক রেখে তাঁদের মারধর করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁদের বাসটি ৩৫০০ টাকা নিয়ে সন্ধ্যাবেলা ছাড়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘কিছু হলেই বাস আটক করে, পরে টাকা নিয়ে বাসগুলো ছেড়ে দেবে, এতে তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইজ্জত নষ্ট হয়। আজ শুনেছি লাব্বাইক পরিবহনের এক সহকারীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ঝামেলা হয়। এর জেরে বাস আটক করেছে। আমি তখনই নিরাপত্তা শাখার এক কর্মকর্তা, সাভার হাইওয়ে থানার একজন কর্মকর্তা এবং তিনজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছিলাম। নিরাপত্তা কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন, সন্ধ্যার দিকে কয়েকটি বাস ছাড়া হয়েছে। আরও কয়েকটি বাস আছে, কিন্তু বাসের চালকদের তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না।’ প্রক্টর বলেন, ‘টাকাপয়সা নিয়েছে কি না, আমি জানি না। টাকা কারা নিয়েছে, আমাকে একটু তথ্য দিলে আমি এখনই ব্যবস্থা নেব।’
এম জি