নতুন রেকর্ডের পথে যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রফতানি

সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৩-১২-০৪ ০৯:২০:০০


প্রতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্র তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানি বাড়াচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ পরিমাণ এলএনজি রফতানি করে। গত মাসেও রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় কাছাকাছি। শীতের তীব্রতা বাড়লে আবারো রফতানি নতুন রেকর্ড স্পর্শ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্স।

ইউরোপের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা যুক্তরাষ্ট্রকে রফতানি বাড়াতে সহায়তা করছে। ইউরোপের এলএনজি আমদানির সবচেয়ে বড় উৎস ছিল রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেন সংঘাতের কারণে রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাড়ানো হচ্ছে সরবরাহ।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান এলএসইজি প্রকাশিত এলএনজিবাহী ট্যাংকারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ৭৯ লাখ ৯০ হাজার টন এলএনজি রফতানি করে। এটি এক মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রফতানি।

এনার্জি ইনফরমেশন এজেন্সি (ইআইএ) জানায়, চলতি বছরের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিশ্বের শীর্ষ এলএনজি রফতানিকারক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল কাতার ও অস্ট্রেলিয়া। আগামী বছর নতুন কিছু এলএনজি প্লান্ট উৎপাদনে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র রফতানিতে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এলএসইজি জানায়, চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৮০ লাখ ১০ হাজার টন এলএনজি রফতানি করেছিল। নভেম্বরে এর চেয়ে কিছুটা কম রফতানি হয়েছে। তবে অক্টোবরের চেয়ে রফতানি বেড়েছে ৭০ হাজার টন।

উত্তর গোলার্ধে শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় ইউরোপের দেশগুলোয় এলএনজি রফতানি বাড়াতে জোর দিচ্ছে মার্কিন উৎপাদকরা। নভেম্বরে মোট রফতানির ৬৮ শতাংশই ইউরোপের দেশগুলোয় পাঠানো হয়েছে। অক্টোবরের তুলনায় অঞ্চলটিতে রফতানি ৬৫ শতাংশ বেড়েছে।

বাজার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রাইস্ট্যাডের বিশ্লেষকরা জানান, শীতের তীব্রতা বাড়লেও ইউরোপের বাজারে এলএনজির দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ অঞ্চলটিতে জ্বালানিটির মজুদ ঊর্ধ্বমুখী। নভেম্বর শেষে মজুদ ৯৭ শতাংশই পরিপূর্ণ ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের হেনরি হাবে চলতি সপ্তাহে গ্যাসের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রতি এমএমবিটিইউ গড়ে ২ ডলার ৭৮ সেন্ট। ইউরোপের ডাচ টাইটেল ট্রান্সফার ফ্যাসিলিটি হাবে প্রতি এমএমবিটিইউর লেনদেন হচ্ছে ১৩ ডলার ৫৪ সেন্টে। অন্যদিকে এশিয়ায় (জেকেএম বাজার আদর্শ) প্রতি এমএমবিটিইউর মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬ ডলার ৩৩ সেন্টে।

এদিকে এশিয়ার বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রফতানি কমেছে। নভেম্বরে মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ এ অঞ্চলে পাঠানো হয়, অক্টোবরে যা ছিল ২০ শতাংশ। তবে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোয় রফতানি ৫ শতাংশে অপরিবর্তিত ছিল।

এলএসইজির দেয়া তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ সাতটি এলএনজি রফতানি প্লান্টে নভেম্বরে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রবাহ বেড়ে রেকর্ড ১ হাজার ৪৩০ কোটি ঘনফুটে উন্নীত হয়, অক্টোবরে যা ছিল ১ হাজার ৩৭০ কোটি ঘনফুট।

এনজে